সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরশুরামে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, আদালতে ছেলের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

পরশুরামে-বাবাকে-পিটিয়ে-হত্যা-আদালতে-ছেলের-স্বীকারোক্তি

পরশুরামে-বাবাকে-পিটিয়ে-হত্যা-আদালতে-ছেলের-স্বীকারোক্তি

ফেনীর পরশুরামে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। একইসঙ্গে নিহতের স্ত্রী হালিমা খাতুন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে ছেলে মো. ওমর ফারুক রাজিব বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং নিহতের স্ত্রী হালিমা খাতুন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আদালত দুইজনের জবানবন্দি গ্রহণ ও লিপিবদ্ধ করেন।

নিহতের নাম আবদুল মমিন। তিনি পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব আলকা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার নিজ বাড়িতে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আবদুল মমিনের মেয়ে পানু আক্তার বাদী হয়ে রাতেই পরশুরাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানান, পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব অলকা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মমিনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছেন। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে মো. ফারুক রাজিব পেশায় একজন দলিল লেখক। ছেলের সঙ্গে বাবার ভালো সম্পর্ক ছিল না। আবদুল মমিন এবং তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। ছেলে মো. ফারুক স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পরশুরাম উপজেলা সদরে বাসা ভাড়ায় থাকতেন। আর দুই মেয়ে তাদের স্বামীর বাড়িতে থাকেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছেলে মো. ফারুক রাজিব তার শ্যালক আবদুল মজিব সুমনকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। বৃদ্ধ আবদুল মমিন তখন ঘরে ঘুমানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় ঘরে ঢুকেই ছেলে বাবার কাছে জানতে চান- তার মাকে নির্যাতন কেন করা হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা রান্নার লাকড়ি দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। পরে প্রতিবেশীরা আবদুল মমিনকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাবা আবদুল মমিনের মৃত্যু হয়।

পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাবাকে হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই ঐ ছেলে এবং তার শ্যালককে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে ছেলে ফারুক হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান শেষে শ্যালকসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।