পিকাসোর প্রেম নিয়ে নতুন বিতর্ক
প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার
পিকাসোর-প্রেম-নিয়ে-নতুন-বিতর্ক
ওলিভিয়ের স্মৃতিচারণার পাতা আর পিকাসো এবং তার সহশিল্পীদের আঁকা ছবি ও ভাস্কর্য দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মঁমার্তের পিকাসো মিউজিয়ামের প্রদর্শনীকক্ষ।
ওলিভিয়ের লেখার সূত্রে উঠে আসছে বিতর্কও। বান্ধবীদের সঙ্গে পিকাসোর সম্পর্কের জটিলতার কথা ফিরে আসছে আলোচনায়।
মিউজিয়ামের ডিরেক্টর সেসিল দেব্রে অবশ্য বলছেন, আজকের মিটু-র চশমা দিয়ে পুরনো সময়কে বিচার করা ঠিক নয়। এটা ঠিকই, ওলিভিয়ে লিখেছেন পিকাসো ছিলেন ভীষণ ঈর্ষাপরায়ণ। বাড়ি থেকে বেরোলে ওলিভিয়েকে তালা-চাবি বন্ধ করে তবেই বেরোতেন। রাতে কাজ করার সময় পিকাসোর খেয়াল রাখা তার অবশ্যকর্তব্য থাকত।
আরো পড়ুন>> ‘আমি শয়তান, আমি ৭ শিশুকে ইনসুলিন দিয়ে খুন করেছি’
সেসিল তবু বলছেন, ওলিভিয়েকে শুধুই ভিক্টিম বা পীড়িতা হিসাবে দেখলে তাকে অসম্মানই করা হয়। পিকাসোর সঙ্গে অনেক ভাল সময়ও কাটিয়েছেন তিনি। ১৯০৪-১২, আট বছর ওরা একসঙ্গে ছিলেন। বাড়িতে বন্ধ করে রাখার সময়েও পিকাসো যে তার জন্য চা-বই গুছিয়ে রেখে যেতেন, সে কথাও বলতে ভোলেননি ওলিভিয়ে। তার পূর্বজীবন ছিল অসংখ্য আঘাত এবং ঝড়ঝাপটায় ঘেরা। বাবা-মা তাকে ত্যাগ করেছিলেন। বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক অত্যাচারীর সঙ্গে। সেখান থেকে পালিয়ে পিকাসোকেই অনেক বেশি নরম, অনেক বেশি ভালবাসার বলে মনে হয়েছিল।
সম্পর্ক শেষ হওয়ার কুড়ি বছর পরে ‘পিকাসো আর তার বন্ধুরা’ নামে বইটি লিখেছিলেন ওলিভিয়ে। পিকাসো আটকাতে চেষ্টা করেছিলেন সে বই। পারেননি। তবু সেসিলের দাবি, পিকাসোকে আজকাল যে ভাবে প্রায় দৈত্য বলে দেখানোর চল হয়েছে, সেটা ঠিক নয়।
সূত্র: আনন্দবাজার