সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিশ্বকাপে জার্মানিকে নিয়ে আশাবাদী ফ্লিক

প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

বিশ্বকাপে-জার্মানিকে-নিয়ে-আশাবাদী-ফ্লিক

বিশ্বকাপে-জার্মানিকে-নিয়ে-আশাবাদী-ফ্লিক

জার্মানির সাম্প্রতিক ফলাফলে আত্নবিশ্বাসের কোনো ছাপ নেই। মলিন পারফরম্যান্সে দলটি উয়েফা নেশন্স লিগের চলতি আসর থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে বড় টুর্নামেন্টে বরাবরই ভালো খেলার রেকর্ডের কারণে আসছে বিশ্বকাপে দল নিয়ে আশাবাদী কোচ হান্সি ফ্লিক।

তিনি মনে করেন, জার্মানিকে নিয়ে সবার অনেক প্রত্যাশা এবং এর প্রতিদান দিতে তার দল বদ্ধপরিকর।

গত বছর ফ্লিক জার্মানির কোচ হওয়ার পর দারুণ সময় কাটছিল জার্মানির। তবে এবারের নেশন্স লিগে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চেনাই যায়নি। ৬ ম্যাচে মাত্র এক জয়ে ‘এ’ লিগের তিন নম্বর গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বিদায় নেয় তারা।

দলের যে ফর্ম, তাতে জার্মানিকে নিয়ে বিশ্বকাপে বড় কিছুর আশা করা অনেকটাই কঠিন। সবশেষ দুটি বড় আসরেও দলটির পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক নয়। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গত বিশ্বকাপে গিয়ে তলানিতে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা।

এছাড়া সবশেষ ইউরোতে কোনোরকমে গ্রুপ পর্ব উতরাতে পারলেও দ্বিতীয় রাউন্ডেই থমকে যায় জার্মানি। তবে বড় টুর্নামেন্টে জ্বলে ওঠার একটা খ্যাতি আছে জার্মানদের। তাই দেশটির সমর্থকরা আশাবাদী হতেই পারেন দল নিয়ে। সম্প্রতি ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্লিকও শোনালেন আশার বাণী।

ফ্লিক বলেন, আমি মনে করি, প্রত্যেক বিশ্বকাপেই জার্মানির নিজেদের প্রমাণ করা দরকার। আমাদের সবসময় পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং জার্মানির উপর প্রত্যাশা অনেক বেশি। তবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে না পারলেও আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, আমরা প্রতিপক্ষদের মোকাবেলা করার জন্য সম্ভাব্য সেরা অবস্থায় আছি। আমি আশা করি, ২০১৮ সালের তুলনায় আমাদের পারফরম্যান্স ভিন্ন হবে।

২৩ নভেম্বর জাপানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে জার্মানির বিশ্বকাপ অভিযান। ‘ই’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই সঙ্গী কোস্টারিকা ও ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ফ্লিক মনে করেন, গ্রুপে স্পেন তাদের শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাবে। তবে শক্তি ও সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকলেও জাপান ও কোস্টারিকাকে হালকাভাবে নিতে নারাজ সাবেক বায়ার্ন মিউনিখ কোচ।

ফ্লিক বলেন, গ্রুপে স্পেন সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ কারণ তাদের দলে বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে। তারা খুব পরিবর্তনশীল কৌশলে ফুটবল খেলে এবং প্রতিটি ম্যাচের জন্য তাদের নতুন পরিকল্পনা থাকে। তারা কিছু বিষয় কীভাবে করে তা দেখার বিষয় হবে। আর আমাদের জন্য কিছু ব্যাপার পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।

এরপর জার্মান কোচ বলেন, জাপানের খেলোয়াড়রা খুব অ্যাথলেটিক, দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং বল পায়ে আত্মবিশ্বাসী থাকে। ম্যাচে তাদের প্রভাব বিস্তার করা থেকে বিরত রাখার জন্য শক্তিশালী রক্ষণ থাকাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। গ্রুপে তারা আমাদের প্রথম প্রতিপক্ষ হবে, তাই তারা আমাদের জন্য এক রকমের মানদণ্ড হবে।

তিনি যোগ করেন, আমরা এটি ইতিবাচকভাবেই কাজে লাগাব। আর কোস্টারিকা এমন একটি দল যারা ভালো ফুটবল খেলতে পারে। তারা কিছুটা অজানা প্রতিপক্ষ, তবে তারা এমন একটি দল যারা আমাদের জন্য কাজটা যতটা সম্ভব কঠিন করে তুলবে।