বিদ্যালয়ে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
বিদ্যালয়ে-সাপের-উপদ্রব-আতঙ্কে-শিক্ষার্থীরা
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একতলা একটি ভবন ও আধা পাকা ঘরে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর স্কুল থেকে গোখরা ও কালি দাঁড়াশ সাপের ১৬টি বাচ্চা মারা হয়েছিল। এ সংক্রান্ত দৈনিক প্রভাতীে একটি সংবাদও প্রকাশিত হয়। গত কিছু দিন ধরে আবারো স্কুলে সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। আজ সকালে ওঝার মাধ্যমে স্কুল থেকে বড় বড় দুটি গোখরা সাপ ধরা হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন বলেন, অনেকদিন ধরেই স্কুলে এই সাপের উপদ্রব, তবে কয়েকদিন ধরে একটু বেশি বেড়ে গেছে এ উপদ্রব। তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আমরা বলতে ছিলাম, স্যার আমরা কেমন করে স্কুলে ক্লাস নেব। পরে স্যার অনেক দিন ধরেই ওঝাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজ সকালে ওঝা স্কুলে এসে দুটি বড় বড় গোখরা সাপ ধরে। একটি সাপ স্কুলের বাথরুম থেকে ও আরেকটি সাপ বাথরুমের পেছন থেকে ধরা হয়।
তিনি আরো বলেন, ছোট ছোট সাপের বাচ্ছাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে গেছে বলে ওঝা বলেছে। এই সাপের উপদ্রবে আমরা সবাই আতঙ্কিত।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, অনেক দিন ধরেই এ স্কুলে সাপের উপদ্রব। তবে গত কিছু দিন ধরে এই উপদ্রব বেড়ে গেছে। সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহ খানেক ধরে ওঝার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আজ সাকালে ওঝা স্কুলে এসে বড় বড় দুটি গোখরা সাপ ধরা হয়।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বাচ্চা ঢুকে পড়ছে। পড়ে গোখরা ও কালি দাঁড়াশ সাপের ১৬টি বাচ্চা মারা হয়েছিলো। চার বছর আগেও স্কুল থেকে বড় একটি সাপ মারা হয়ে ছিলো।
তিনি আরো বলেন, সাপ মারার কার্বলিক অ্যাসিড স্কুলের সবখানে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের ভেতরে আর কোনো সাপ বা সাপের বাচ্ছা নেয় বলে ওঝা নিশ্চিত করেছেন। স্কুলের পাশে জমি থাকায় সব সময় এ সাপের উপদ্রব লেগে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত সাপ কাউকে দংশন করেনি।