রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডলার বিক্রির দর বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ডলার-বিক্রির-দর-বাড়াল-বাংলাদেশ-ব্যাংক

ডলার-বিক্রির-দর-বাড়াল-বাংলাদেশ-ব্যাংক

বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির দর ১ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক মাসের বেশি সময় ধরে ব্যাংকগুলোর চাহিদা মেটাতে ৯৬ টাকায় প্রতি ডলার বিক্রি করা হচ্ছিল; বুধবার তা ১ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ টাকা করা হয়েছে।

আন্তঃব্যাংক ও গ্রাহক পর্যায়ে সব ব্যাংকই বর্তমানে ভাসমান বিনিময় দর অনুসরণ করছে। তবে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে নিজেদের নির্ধারিত আলাদা দর অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাকে বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সেলিং রেট’।

এই রেটেই অর্থাৎ ৯৭ টাকা দরে বুধবার রিজার্ভ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৮ বার ডলারের দাম বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর ডলারের দর ১ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ টাকা করা হয়েছিল। এক মাস ধরে এই দামেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আন্তঃব্যাংক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই আমরা বুধবার রিজার্ভ থেকে ৯৭ টাকা টাকা দরে ৮ কোটি ডলার বিক্রি করেছি। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত নতুন দরকেই বলা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সেলিং রেট’। যে ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে সেটিকে বলা হচ্ছে বাজারের সঙ্গে ‘এডজাস্টমেন্ট’।

এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংক যে দামে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করতো সেটিকে ‘ইন্টারব্যাংক এক্সচেঞ্জ রেট’ বা আন্তঃব্যাংক লেনদেন হার- নামে অভিহিত করা হতো।

চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে মুদ্রার অবমূল্যায়ন করে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছিল ৯৫ টাকা দরে। ঐদিন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় বাজারের স্থিতিশীলতা আনতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) এক সভায় রফতানি আয় নগদায়নে ডলারের দাম ৯৯ টাকা ও দেশে আসা রেমিট্যান্সে ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ঐদিন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নির্ধারিত ৯৫ টাকা দরে ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে ডলার কেনাবেচার বাধ্যবাধকতাটি তুলে নেয়।

১২ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলো রফতানিকারক ও রেমিট্যান্স প্রেরকদের জন্য ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা অভিন্ন হার নির্ধারণ করলে দীর্ঘ পাঁচ মাস নিস্ক্রিয় থাকার পর ফের সচল হয় আন্তঃব্যাংক ফরেক্স বাজার। একই দিনে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির হারের পরিবর্তে আন্তঃব্যাংক ডলার রেট হিসেবে ভাসমান হার প্রকাশ করা শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ১১ অক্টোবর ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা দরে ডলার কেনাবেচা করছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এটি আন্তব্যাংক লেনদেন যা বাফেদা নির্ধারিত দর।