সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউরোপে করোনার নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা ডব্লিউএইচও’র

প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ইউরোপে-করোনার-নতুন-ঢেউয়ের-আশঙ্কা-ডব্লিউএইচওর

ইউরোপে-করোনার-নতুন-ঢেউয়ের-আশঙ্কা-ডব্লিউএইচওর

নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইউরোপে করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইউরোপীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রও (ইসিডিসি) একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ শাখা কার্যালয়ের পরিচালক হ্যান্স ক্লাগ ও ইসিডিসি’র পরিচালক আন্দ্রেয়া আমন স্বাক্ষরিত সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যদিও এক বছর আগে আমরা যে ঝুঁকিতে ছিলাম, এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই, কিন্তু এটা একদম পরিষ্কার করোনা মহামারি এখনও পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়নি।’

‘এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করছি, ইউরোপে ফের বাড়ছে এই রোগের দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণের যে চিত্র, তাতে শিগগিরই করোনার আরও একটি ঢেউ আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আসন্ন শীতেই আসতে পারে এই ঢেউ।’

জাতিসংঘর অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায়। কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে বিশ্বকে ৬টি অঞ্চলে ভাগ করেছে সংস্থাটি। ইউরোপের কার্যালয়টিও ডব্লিউএইচওর ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মধ্যে একটি।

সম্প্রতি এই ছয়টি অঞ্চলের সাপ্তাহিক সংক্রমণ পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। সেখানে দেখা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংক্রমণ স্থিতিশীল থাকলেও ইউরোপের পরিস্থিতি ভিন্ন। গত সপ্তাহে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ ৮ শতাংশ বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

ইউরোপ মহাদেশভুক্ত বেশিরভাগ দেশেই করোনার টিকা খুবই সহজলভ্য। কিন্তু জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর গণটিকাদান কার্যক্রমের শুরু থেকেই টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা ছিল ইউরোপের জনগণের একটি বড় অংশের মধ্যে। সেই অনীহা এখনও রয়েছে।

এখনও ইউরোপের লাখ লাখ মানুষ করোনা টিকার একটি ডোজও নেননি।

বুধবারের বিবৃতিতে জনগণকে অবিলম্বে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় ডব্লিউএইচও ও ইসিডিসির পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘অবিলম্বে আমাদের সবারই টিকার ডোজ নেয়া উচিত। কারণ নষ্ট করার মতো পর্যাপ্ত সময় এখন আর আমাদের হাতে নেই।’

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুসারে, করোনাভাইরাস মহামারিতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৪৪ জন মানুষের।

সূত্র: আল-জাজিরা