ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজ খোয়ালো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া
প্রকাশিত : ০৯:৩০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
ইংল্যান্ডের-কাছে-সিরিজ-খোয়ালো-বিশ্বচ্যাম্পিয়ন-অস্ট্রেলিয়া
সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০তে ইংল্যান্ড ৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। প্রথম ম্যাচেও ৮ রানে জিতেছিলো ইংল্যান্ড। সিরিজ জয়ের সাথে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংলিশরা। ব্যাট হাতে মালান ৪৯ বলে ৮২ রান করেন। আর বল হাতে প্রয়োজনীয় সময়ে ব্রেক-থ্রূ দিয়ে মূল্যবান ৩টি উইকেট নেন কারান।
সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে ক্যানবেরাতে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে দলকে ১৩২ রানের সূচনা এনে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার অধিনায়ক জশ বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। আজ ২১ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি বাটলার ও হেলস।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাটলারকে ১৭ রানে বিদায় দেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। ১৩ বল খেলে ৩টি চার মারেন ইংলিশ দলনেতা। অধিনায়কের মত সুবিধা করতে পারেননি গত ম্যাচের হিরো হেলসও। ৭ বল খেলে মাত্র ৪ রান করে অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিসের শিকার হন তিনি। আগের ম্যাচে বাটলার ৬৮ ও হেলস ৮৪ রান করেন।
৩১ রানে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারকে বিদায় দিয়ে, প্রতিপক্ষের মিডল-অর্ডারেও চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। বেন স্টোকসকে ৭ রানে স্পিনার এডাম জাম্পা ও হ্যারি ব্রুককে ১ রানে শিকার করেন স্টয়নিস। এতে ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
এ অবস্থায় দলের হাল ধরেন ডেভিড মালান ও মঈন আলি। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপর ছড়ি ঘুড়িয়েছেন তারা। ৩১ বলে টি-২০ ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন মালান।
১৭তম ওভারে মালান-মঈন জুটি ভাঙ্গেন জাম্পা। ২৭ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করা মঈনকে আউট করেন জাম্পা। পঞ্চম উইকেটে মালান ও মঈন ৫২ বলে ৯২ রান যোগ করেন।
ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন ৫৫ রানে জীবন পাওয়া মালান। তবে আউট হওয়ার আগে ৪৯ বল খেলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৮২ রান করেন তিনি। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে ২০৮ রান করেছিলো ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়ার স্টয়নিস ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন।
১৭৯ রানের জবাবে ভালো শুরু হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ২২ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নের ফিরেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ওয়ার্নার ৪ ও ফিঞ্চ ১৩ রান করেন। মিডল-অর্ডারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৮ রানের বেশি করতে পারেননি। এতে অষ্টম ওভারে ৫১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মহাচাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
এ অবস্থায় দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ ও স্টয়নিস। চতুর্থ উইকেটে স্টয়নিকে নিয়ে ২৩ বলে ৪০ ও পঞ্চম উইকেটে টিম ডেভিডকে নিয়ে ১৬ বলে ২৩ রান তুলেন মার্শ। স্টয়নিস ১৩ বলে ২২ রান করে কারানের শিকার হন। উইকেটে সেট হয়ে ইংল্যান্ডের মাথা ব্যথার কারন ছিলেন মার্শ।
দলীয় ১১৪ রানে মার্শকে তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে কিছুটা চিন্তা মুক্ত করেন স্টোকস। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৯ বলে ৪৫ রান করেন মার্শ।
মার্শ যখন ফিরেন, তখন ম্যাচ জিততে ৩৬ বলে ৬৫ রান দরকার ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। উইকেটে ছিলেন ডেভিড ও ম্যাথু ওয়েড। এসময় ব্যাট হাতে মারমুখী হয়ে উঠেন ডেভিড। মার্শ ফেরার পর ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। ফলে শেষ ৩ ওভারে ৩৪ রানের দরকার পড়ে অসিদের।
১৮তম ওভারের ভয়ংকর রুপে থাকা ডেভিডকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে দারুন এক ব্রেক-থ্রু এনে দেন কারান। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে ৪০ রান করেন ডেভিড।
ডেভিড ফেরার পর পরের ১০ বলে কোন বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি ছিলো না অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে। শেষ ওভারে ২২ রানের দরকার পড়ে অস্ট্রেলিয়ার। কারানের করা প্রথম বলেই ছক্কা মারেন কামিন্স। কিন্তু শেষ পাঁচ বলে মাত্র ৭ রান নিতে পারেন কামিন্স ও ওয়েড। তাতেই ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ রান করে অসিরা। ওয়েড ১০ ও কামিন্স ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইংল্যান্ডের কারান ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন। তবে ম্যাচ সেরা হন মালান।
আগামী ১৪ অক্টোবর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ খেলবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড।