কাঁদলেন, কাঁদালেন ছাত্রলীগ সভাপতি
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২২ বুধবার
কাঁদলেন-কাঁদালেন-ছাত্রলীগ-সভাপতি
জানাজার মাঠে সে নিজে কাঁদলেন এবং সবাইকে কাঁদালেন। রিফাত আখাউড়া পৌর শাখার ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়া এ ছাত্রলীগ নেতা টানা ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তাকে হেরে যেতে হয়েছে। এ দুনিয়ার মায়া ছেড়ে সবার অজান্তে তাকে চলে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রিফাত উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের সাবেক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা শাহআলমের ছেলে।
এদিকে সবস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে তার জানাজার নামাজ হয়।
মৃতের মামাতো ভাই মো. রুবেল আহম্মেদ বলেন, গত ৫ অক্টোবর প্রয়োজনীয় কাজ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রিফাত বাড়ি থেকে বের হয়। মোটরসাইকেলটি নিয়ে সে সদর উপজেলার চিনাইর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাখা হয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে)। কিন্তু সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। টানা ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুতে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক, আখাউড়া পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূইয়া, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, সাবেক পৌরসভা মেয়র মো. নুরুল হক ভূইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মনির হোসেন বাবুল ও সেলিম ভুইয়া আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।