সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যালয়ে ডেকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

বিদ্যালয়ে-ডেকে-স্কুলছাত্রীকে-ধর্ষণ-প্রধান-শিক্ষকের-যাবজ্জীবন

বিদ্যালয়ে-ডেকে-স্কুলছাত্রীকে-ধর্ষণ-প্রধান-শিক্ষকের-যাবজ্জীবন

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় ফেনীর দাগনভূঞার এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর (৬০)। তিনি দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর গ্রামের মৃত হাজী আলতাফ আলীর ছেলে। 

বুধবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে আসামি মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। বিদ্যালয়ে তখন আর কোনো শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী ছিল না। এ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে একা একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নানা হুমকি দেন। ওই দিনের পর ওই শিক্ষক আরো কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।

কিছুদিন পর ওই শিক্ষকের চাপ ও হুমকি সইতে না পেরে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার পরিবারকে জানায়। পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুরকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।

দাগনভূঞা থানার এসআই মো. মোবারক হোসেন মামলাটি তদন্ত শেষে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় বাদীসহ মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল করিম খান বাহাদুর উপজেলার খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।