সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চ্যাম্পিয়নস লিগের শীর্ষে চেলসি

প্রকাশিত : ০৪:৩০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

চ্যাম্পিয়নস-লিগের-শীর্ষে-চেলসি

চ্যাম্পিয়নস-লিগের-শীর্ষে-চেলসি

এসি মিলানকে ২-০ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ-ই’র শীর্ষস্থান দখল করেছে চেলসি। সান সিরোতে কাল দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে প্রায় পুরোটা সময়ই আধিপত্য দেখিয়েছে সফরকারী চেলসি।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে ডিফেন্ডার ফিকায়ো টোমোরি সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে গেলে বাকিটা সময় মিলানকে ১০ জন নিয়েই খেলতে হয়েছে। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে গ্রাহাম পটারের চেলসি। ম্যাসন মাউন্টকে ফাউলের অপরাধে টোমোরিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। তার আগ পর্যন্ত চেলসিকে ভালই প্রতিরোধ করেছিল ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

হতাশাজনক এই পরাজয়ের পর মিলানের কোচ স্টিফানো পিওলি শান্ত থাকলেও পরবর্তীতে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ‘আমি একটি কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি আজ রেফারি তার সেরাটা দিতে পারেনি।’

ফাউল থেকে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে গোল করে জর্জিনহো চেলসিকে এগিয়ে দেন। বিরতির ১১ মিনিট আগে পিয়েরে এমেরিক-অবামেয়াংয়ের ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুন হবার পাশাপাশি চেলসির জয় নিশ্চিত হয়।

সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এটা  চেলসির টানা চতুর্থ জয়। অথচ গত সপ্তাহে স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে মিলানের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও চেলসির অবস্থা বেগতিক ছিল। ঐ ম্যাচে ৩-০ গোলের দাপুটে জয়ে চেলসি এগিয়ে যায়। চেলসির কাছে দুটি টানা পরাজয়ে মিলান বর্তমানে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর প্রথমবারের মত নক আউট পর্বে খেলার স্বপ্ন এখনো ফিকে হয়ে যায়নি। পিওলির দল নক আউট পর্ব নিশ্চিতে মাত্র দুই পয়েন্ট দুরে রয়েছে। ডায়নামো জাগ্রেব ও সালজবার্গের বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ভাগ্য নির্ধারিত হবে।

রেসি জেমসের থ্রু বলে দারুনভাবে এগিয়ে যাওয়া মাউন্টকে আটকাতে গিয়ে ইংলিশ ডিফেন্ডার টোমোরি যে ফাউল করেছিলেন তাতে রেফারি ড্যানিয়েল সিয়েবার্ট পেনাল্টির নির্দেশ দেন। যা নিয়ে পরবর্তীতে বিতর্ক কম হয়নি। স্বাগতিক সমর্থকরাও এই সিদ্ধান্ত ভালভাবে মেনে নেয়নি। এই ঘটনায় উভয় দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জেড়ে মাউন্ট ও অলিভার গিরুদকে হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়। 

সান সিরোর দর্শকদের ক্ষোভের মধ্যেই জর্জিনহো তিন মিনিট পর গোল করে চেলসিকে এগিয়ে দেন। এই জর্জিনহোর পেনাল্টি মিসের কারনেই আসন্ন বিশ্বকাপে খেলা হয়নি ইতালির। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গিরুদ ২৭ মিনিটে গোল প্রাই দিয়েই ফেলেছিলেন। কিন্তু তার হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। অবামেয়াং অবশ্য আর কোন ভুল করেননি। মাউন্টের এ্যাসিস্টে গ্যাবনিজ স্ট্রাইকার অবামেয়াং ঠান্ড মাথায় মিলান গোলরক্ষক সিপিরান টাটারুসানুকে পরাস্ত করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে উজ্জীবিত সমর্থকদের কারনে মিলান বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করলেও তা শেষ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারেনি। ৬০ মিনিটে সার্জিনো ডেস্ট সহজ একটি সুযোগ হাতছাড়া করলে মিলানের ম্যাচে ফিরে আসা হয়নি।