সৌদি আরবে করুণ পরিণতি দেখানোর প্রতিজ্ঞা বাইডেনের!
প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২২ বুধবার
সৌদি-আরবে-করুণ-পরিণতি-দেখানোর-প্রতিজ্ঞা-বাইডেনের
ওপেক প্লাস হচ্ছে ১৩ দেশের আন্তঃসরকারের সংগঠন, যারা পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক। ১৯৬০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশ নিয়ে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করেছিল। সেই সংগঠনটি গত সপ্তাহে তেল উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয়।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সভাপতি শক্তিশালী ডেমোক্রেটিক সিনেটর বব মেনডেজ বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র বিক্রিসহ সবধরনের সহযোগিতা দ্রুত বন্ধ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। তার এ বক্তব্যের একদিন পরই বাইডেন সৌদি আরবের করুণ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন।
সিএনএন-এর জেক টেপারের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বাইডেন বলেন, তিনি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আলোচনা করবেন না।
হোয়াইটহাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জেন পিয়ার বলেন, আমাদের নীতি পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তবে সেটি কার্যকর বা এটি কার দ্বারা পুনর্বিবেচনা হবে তার ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। আগামী কয়েক সপ্তাহ ও মাস বিষয়টি গভীরভাবে নজর রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান বলেন, ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক। এ সিদ্ধান্ত সংগঠনটির সব দেশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে।
প্রিন্স ফায়সাল আল আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, ওপেক প্লাসের সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন এবং যথার্থ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বেশ কয়েকদিন ধরেই পেট্রোলিয়াম উৎপাদন কমানোর চিন্তা করছিল ওপেক প্লাস। এ পদক্ষেপের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অনেক তদবির করেছেন। তবুও ওপেক প্লাস নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল উৎপাদনের ঘোষণা দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে রাশিযার অভিযানের পর রুশ তেলের বাজারদর নির্ধারণ করে দেয় পশ্চিমারা। এরপর তেলের দাম নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধেছে সৌদি আরব।
মার্কিন কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে তেল উৎপাদন না কমানোর জন্য আরবের সবচেয়ে বড় অংশীদার সৌদি আরব রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সৌদির ক্রাউন্স প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিষয়টিতে সম্মতি দেননি।
গত জুলাইয়ে সৌদি আররেব জেদ্দা সফর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ঐ সময় মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাইডেন। সেই বৈঠকে ২০১৮ সালে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগীকে হত্যার জন্য মোহাম্মকে দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই থেকে মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।
সূত্র- রয়টার্স।