সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গরু-ভেড়ার ‘শ্বাস ও প্রস্রাবে’ ট্যাক্স বসাতে চায় নিউজিল্যান্ড

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

গরু-ভেড়ার-শ্বাস-ও-প্রস্রাবে-ট্যাক্স-বসাতে-চায়-নিউজিল্যান্ড

গরু-ভেড়ার-শ্বাস-ও-প্রস্রাবে-ট্যাক্স-বসাতে-চায়-নিউজিল্যান্ড

জলবায়ু পবির্তন সামলানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খামারের প্রাণীর শ্বাস ও প্রস্রাবের ওপর ট্যাক্স বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। মঙ্গলবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব ঘোষণা করা হয়। 

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বে এই প্রথম খামার থেকে খাজনা আদায় হবে এবং কৃষকরা জলবায়ু-বান্ধব পণ্যের দাম বাড়িয়ে তার ব্যয় উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন।

এদিকে, তাৎক্ষণিক সরকারের এ প্রস্তাবের নিন্দা জানিয়েছে কৃষকরা। এটি ২০২৫ সালে ঘোষণার কথা জানায় তারা।

খামার শিল্পের প্রধান লবি গ্রুপ ফেডারেইটেড ফার্মাস বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের জন্য খামারিদের ওপর এ ট্যাক্স নিউজিল্যান্ডের ছোট শহর থেকে আমাদের বিতাড়িত করবে। এতে খাদ্য উৎপাদনের ওপর প্রভাব পড়বে। কারণ খামার বাগানে রূপান্তর হবে।

ফেডারেইটেড ফার্মার্সের সভাপতি এন্ড্রো হোগার্ড বলেন, আমরা কৃষকদের কৃষিতে নিয়োজিত রাখার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এখন কৃষকরা তাদের খামার বিক্রি করে দেবেন যা কখনোই শোনা যায়নি।

নিউজিল্যান্ডে ৫০ লাখ মানুষের বাস। দেশটিতে রয়েছে এক কোটি মাংস ও দুধ উৎপাদকারী পশু গরু ও দুই কোটি ৬ লাখ ভেড়া রয়েছে। খামারের প্রাণীরাও পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়াতে গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন করছে। বিশেষ করে তাদের পশুর শ্বাস থেকে মিথেন গ্যাস ও প্রস্রাব থেকে নাইট্রাস অক্সাইড উৎপন্ন হয়। নিউজিল্যান্ডের মোট গ্রিনহাউসের গ্যাস নির্গমনের অর্ধেক আসে কৃষিখাত থেকে। 

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা এন্ডারসন সাংবাদিকদের বলেন, এ প্রস্তাব নিউজিল্যান্ডের কৃষকদের বিশ্বের সেরাই করবে না, বিশ্বের জন্য সেরা করে তুলবে।

সূত্র- আলজাজিরা ও ডেইলি মিরর।