সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কসোভোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি শিগগিরই: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১১:১০ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

কসোভোর-সঙ্গে-সাংস্কৃতিক-বিনিময়-চুক্তি-শিগগিরই-সংস্কৃতি-প্রতিমন্ত্রী

কসোভোর-সঙ্গে-সাংস্কৃতিক-বিনিময়-চুক্তি-শিগগিরই-সংস্কৃতি-প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে শিগগিরই সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি  হবে।

মঙ্গলবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও কসোভোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’নেতা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চুক্তিটির খসড়া কসোভোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর এক মাস আগে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সম্মতি পেয়েছি। চুক্তিটিতে সামান্য কিছু সংশোধন রয়েছে। এটি স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা পুরোপুরি একমত। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং ও মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষর হবে।

কসোভোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রেশনিক আহমেতি বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তিটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলকে কসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে দু’দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

কে এম খালিদ বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। বাংলাদেশ যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। একইভাবে কসোভোও দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ২০৩০ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখি যুগান্তকারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিশ্বের ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। যার মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে সর্বশেষ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।