গরম কমলে বিদ্যুৎ ম্যানেজ করতে পারবো: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১০:১০ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার
গরম-কমলে-বিদ্যুৎ-ম্যানেজ-করতে-পারবো-জ্বালানি-প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিস সময় পরিবর্তন করা হলো, তারপরও লোডশেডিংয়ে হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে- জানতে চাইলে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় লোডশেডিং বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে না। আমাদের ধারণা ছিল অক্টোবরের দিকে বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসবে। কারণ তখন আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে যাবে। কমের মধ্যে আমরা এটা ম্যানেজ করতে পারবো। এছাড়া আমরা জ্বালানি আনতে পারছি না, আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা মনে করেছিলাম বিদ্যুতের চাহিদা কমে আসবে। কিন্তু আবহাওয়ার যে অবস্থা, যে পরিমাণ গরম। বিদ্যুতের চাহিদা আগের মতোই রয়ে গেছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি আশা করেছিলাম গ্যাসের দাম কমে আসবে বিশ্বব্যাপী, যদিও কিছুটা কমেছে স্পট মার্কেটে। কিন্তু যে গ্যাস ৫ ডলারে কিনতাম সেটা এখন ২৮ ডলার হয়েছে। যেটা গত মাসের আগের মাসে ছিল ৪৭ ডলার। কমার পরও আমার জন্য তো এটা বেশি। এছাড়া ডলারের দামও বেড়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, এজন্য আমি মনে করি, একটু ধৈর্য ধরা দরকার। গত মাসে বলছিলাম, অক্টোবর থেকে হয়তো আমরা লোডশেডিং থেকে বেরিয়ে আসবো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সাত হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে যা তেলে চলে। ১১ হাজার মেগাওয়াট রয়েছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাকি সোলার বা বিদেশ থেকে আনছি, সবকিছু মিলিয়ে আমাদের (বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা) সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মেগাওয়াট। পুরো সিস্টেমের মধ্যে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট আমি গ্যাসে চালাতে পারছি।
দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় এখন গ্যাস নেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্পট মার্কেট থেকে যেটা নিতাম সেটা নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি।
লোডশেডিংয়ের কারণে সবার কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, গতকাল আমার বাড়িতে রাত দেড়টার পর বিদ্যুৎ ছিল না। সবাই ধৈর্য ধরেন, এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতি। সামনের বছর আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব দেখা দিতে পারে। এটা আমাদের কথা নয়, জাতিসংঘের কথা।
কৃষিতে সেচ ব্যবস্থা সচল রাখাই প্রধান লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কতটুকু সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারি।
গ্রামে কোথাও কোথাও আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানি ঠিকমতো না পেলে এটা (লোডশেডিং) ম্যানেজ করা সম্ভব নয়। জ্বালানি পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দরকার, সেই পরিমাণ অর্থ আমাদের কাছে নেই। সেই পরিমাণ অর্থ নিয়ে যদি ডলার কিনতে চাই, তবে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। সেখানে আমরা কন্ট্রোলে আছি।