সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে কারণে জ্যোতিদের স্বপ্ন ভঙ্গ

প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

যে-কারণে-জ্যোতিদের-স্বপ্ন-ভঙ্গ

যে-কারণে-জ্যোতিদের-স্বপ্ন-ভঙ্গ

নারী এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে তাই এবারও টাইগ্রেসদের নিয়ে দেশবাসীর প্রত্যশা ছিলো আকাশচুম্বী। কিন্তু প্রত্যাশা পুরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। এবার গ্রুপ পর্বের বাঁধাই পার হতে পারলো না বাংলাদেশের মেয়েরা। এ যেনো প্রকৃতি আর ভাগ্যের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ্। 

এই হারে ভাগ্য কিংবা প্রকৃতিকে দোষ দিয়ে অবশ্য ব্যর্থতাকে আড়াল করার কোনো সুযোগ নেই। সেই অবকাশ রাখেননি জ্যোতিরা।

কেননা আগের ম্যাচেই স্বল্প রানের টার্গেটও পার হতে পারেননি তারা। মুখে তুলে খাইয়ে দেওয়ার মতো অবস্থায় খাবার গিলতে না পারার ব্যর্থতা দেখিয়েছে তারা।

কেনো এই ব্যর্থতা? কারণ খুঁজতে গেলে প্রথমেই আসবে দলের কম্বিনেশন। এশিয়া কাপের মতো আসরেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে গিয়েই সর্বনাশ ডেকে এনেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের কথাই ধরা যাক। ইনফর্ম ওপেনার মুর্শিদা খাতুনকে বসিয়ে রাখা হলো, ফলাফল দলের হার। 

অথচ পরের ম্যাচে ফিরেই মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ফিফটি করেছেন এই বাঁহাতি। একই উদাহরন টানা যায় বোলারদের বেলায়ও। দুর্দান্ত লাইন লেংথ আর গোছালো বোলিংটা ভালো পারেন মিডিয়াম পেসার ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। অথচ প্রথম দুই ম্যাচে বসিয়ে রাখা হলো তাকে। 

তৃতীয় ম্যাচে ফিরেই অবশ্য প্রমাণ করেছেন তৃষ্ণা। দ্বিতীয় বাংলাদেশী বোলার হিসেবে করেছেন হ্যাটট্রিক। তার হ্যাটট্রিকে মালয়েশিয়া নারী দলকে হারায় বাংলাদেশ। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো ঠিক পরের ম্যাচেই একাদশের বাইরে তৃষ্ণার নাম!

টিম কম্বিনেশন বাদ দিলে আরেকটা কারণ হলো বাংলাদেশী ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলার তাড়া। সিঙ্গেল, ডাবলস না নিয়ে প্রতি ওভারেই অ্যাটাক করতে গিয়েই খেই হারিয়ে উইকেট বিলানোর অভ্যাসটা বাংলাদেশের পুরনো রোগ। যে রোগ ছাড়েনি এশিয়া কাপেও ।

পুরো আসরেই দেখা গেছে, অধিনায়ক জ্যোতি কিংবা ওপেনাররা ব্যর্থ হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। এ নিয়ে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে মিডল অর্ডারের উন্নতির কথাও ভাবতে হবে বাংলাদেশকে।

পরিশেষে বলা যায়, এক হারেই স্বপ্ন ফুরিয়ে যায় না। নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আবারও গর্জে উঠবে আমাদের বাঘিনীরা। আবারও উল্লাস হবে বাংলার প্রান্তরে।

বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া স্বপ্ন নেমে আসবে নবধারা হয়ে। এটাই প্রত্যাশা।