মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক বছর ৩ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো লাশ

প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

এক-বছর-৩-মাস-পর-কবর-থেকে-তোলা-হলো-লাশ

এক-বছর-৩-মাস-পর-কবর-থেকে-তোলা-হলো-লাশ

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় দাফনের এক বছর ৩ মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে সীমা খাতুন নামে এক গৃহবধূর লাশ। 

মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হাওলাদারের উপস্থিতিতে এ লাশ তোলা হয়।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩ জুলাই শনিবার রাত ৮টার দিকে মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচূড়া ইউপির মহিষবাথান গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের স্ত্রী সীমা খাতুন ডায়রিয়া বা রক্ত আমাশা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় তার স্বামীর বাড়িতে মারা যান।

গৃহবধূ সীমা খাতুনের ভাই জামালপুর সদর উপজেলার রনরামপুর দক্ষিণ পশ্চিমপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে শাহজাহান ওরফে শাহ জামাল নামে এক কৃষক গত ২৯ জুলাই একইভাবে মাত্র ২৬-২৭ দিনের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, মৃত সীমা খাতুনের সহোদর বড় ভাই শাহ জামালের স্ত্রী চামেলি বেগমের পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল মৃত সীমা খাতুনের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের। শাহ জামাল আর তার বোন সীমার মৃত্যুর অল্প কিছু দিন পরেই অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর ও চামেলী বেগম বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। 

নিহত শাহ জামালের দুই কন্যা ও নিহত সীমার এক ছেলে এক কন্যা চরম অশান্তির মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছে সীমার আত্মীয়, স্বজনরা। এ ঘটনার প্রায় ১ বছর পর গত ১৬ জুন জামালপুর সদর থানায় সীমা ও শাহ জামালের বাবা ইউসুফ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে সীমার বাবা বাদী হয়ে মাদারগঞ্জে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মোস্তাফিজুর রহমান ও চামেলি জেল হাজতে আছে।