স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, ২ ভাই গ্রেফতার
প্রকাশিত : ০৭:১৫ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার
স্কুলছাত্রীকে-অপহরণের-পর-ধর্ষণ-২-ভাই-গ্রেফতার
গ্রেফতারকৃতরা ভূঞাপুর পৌরসভার পলিশা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে ও টেপিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিরাজ এবং তার বড় ভাই সুমন (২২)।
এর আগে গত শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনের নামে ভূঞাপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, উপজেলার ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো সহপাঠী মিরাজ। প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বড় ভাই সুমন, ভাবি লাবন্য ও চাচা মনিরুজ্জামানের সহায়তায় তাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয়। পরে এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে স্কুলছাত্রীসহ মিরাজ ও তার ভাই সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্কুল শিক্ষার্থী জানায়, একই বিদ্যালয়ে পড়ার কারণে মিরাজ আমাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিত। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শুক্রবার মিরাজ ও তার ভাইসহ সবার সহায়তায় আমাকে প্রথমে গাজীপুরের টঙ্গী এবং পরে সাভার তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। টঙ্গীতেই মিরাজের সঙ্গে আমার বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর এক সঙ্গেই আমরা সাভার ও গাজীপুরে থেকেছি। পরে নলুয়াতে আসলে পুলিশ আমাদেরকে ধরে থানায় নিয়ে আসে।
স্কুল শিক্ষার্থীর মা বলেন, নাবালিকা মেয়েটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। আমাদের পরিবার গরিব। পরে থানায় মামলা করলে পুলিশ অপহরণকারী মিরাজ ও তার ভাইকে গ্রেফতারসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। আসামিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ভূঞাপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, থানায় মামলার পর পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল। এরপরও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধারসহ দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধারসহ জড়িত দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দির জন্য নেয়া হয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতার দুই ভাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।