সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমানের বক্তব্যে বেকায়দায় খালেদা

প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

আমানের-বক্তব্যে-বেকায়দায়-খালেদা

আমানের-বক্তব্যে-বেকায়দায়-খালেদা

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের বেফাঁস মন্তব্যে খালেদা জিয়াকে এক ধরনের বেকায়দায় ফেলেছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে।

গত শনিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে, অন্য কারো কথায় নয়। 

তার এ বক্তব্য নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তার এ বক্তব্যের কারণে বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ হতবাক হয়েছেন বলেও জানান। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন ঠিকই কিন্তু আমান উল্লাহ আমান যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে এক ধরনের আইনি জটিলতার মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর সেটা যদি শেষ পর্যন্ত হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া এখন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুই শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার। 

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠবারের মতো সাজা স্থগিত রেখে খালেদার জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে।  দুটি শর্ত অনুসারে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। এছাড়া আইন অনুসারে তিনি এ সময় কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গেও সম্পৃক্ত হতে পারেন না। কিন্তু আমান উল্লাহ আমান যেভাবে খালেদা জিয়াকে সামনে আনলেন সেটি রীতিমতো অপরাধ বটে। কারণ খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক দণ্ডিত। সেই বিবেচনায় তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন না।

আমান উল্লাহ আমান যে ঘোষণা দিয়েছেন খালেদা জিয়া এ ধরনের কোনো নিদর্শনা দেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাহলে আমান উল্লাহ কেনো এই ঘোষণা দিলেন সেটিই প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। তার এ ঘোষণার জন্য পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে কিনা সেটি নিয়েও বিএনপিতে এখন এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

এদিকে, আমানের এ ধরনের বক্তব্যে খালেদা জিয়ার পরিবারও নাখোশ হয়েছেন বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার ভাই এবং তার বোন বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানিয়েছে। 

তারা বলছেন, বিএনপি আন্দোলন করে যখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন এ ধরনের বক্তব্য কাণ্ডজ্ঞানহীন ছাড়া আর কিছুই নয়।