দলীয় কোন্দলে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন পণ্ড
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
দলীয়-কোন্দলে-ঘাটাইল-উপজেলা-বিএনপির-সম্মেলন-পণ্ড
জানা গেছে, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে লুৎফর রহমান খান আজাদ টানা চারবার সংসদ সদস্য ও তিনবার মন্ত্রী হন। বর্তমানে তিনি ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির নমিনি। তার একক নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপি পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু নানা কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির। পরে দলকে চাঙ্গা রাখতে অন্যদের বাদ দিয়ে নিজেই উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব তুলে নেন লুৎফর রহমান খান আজাদ। ফলে দলের ভেতরেই তিনি সমালোচিত হন। তাছাড়া কর্মী মূল্যায়ন নিয়েও আজাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অনেক অভিযোগ। এতে করে উপজেলা বিএনপিই অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে।
এদিকে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বাসাইলের সন্তান অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক নাছিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু নাছিরও দলের নেতাকর্মী, তৃণমূল বিএনপি ও বিএনপি ঘরানার কারো সঙ্গে পরামর্শ না করে দীর্ঘদিন যারা দলের বাইরে ছিলেন, তাদের কয়েকজনকে নিয়ে কমিটি গঠনের কাজে নেমে পড়েন। তিনি চান এমপি হতে। তিনি চাইছিলেন অল্প সময়ের মধ্যে দলের সকল ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে। তার দেওয়া আহ্বায়ক কমিটির ৫-৭ জন নেতা ছাড়া দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটি থেকে কৌশলে বাদ দেওয়া হয়। এতে দল ক্ষতির মুখে পড়ে ও নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে।
তৃণমূল বিএনপির অভিযোগ, নাছির তার পছন্দের লোকজন দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি করেন। তিনি ইউনিয়ন ও পৌরসভার কাউন্সিল ছাড়াই ঘরে বসে কমিটি করে গত ৬ অক্টোবর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক বাছেদ করিমের বাড়ির উঠানে সম্মেলন ডাকেন। যদিও তিনি সম্মেলন করতে পারেননি। বিএনপির মতো একটি বড় দলের উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন বাড়ির উঠানে আয়োজন করা হয়েছে জেনে বিএনপির একটি বৃহৎ অংশ ও নাছিরের দেওয়া আহ্বায়ক কমিটির ৯০ শতাংশ নেতাকর্মী সম্মেলন বর্জন করে প্রতিহতের ঘোষণা দেন। ফলে পণ্ড হয়ে যায় নাছির গ্রুপের ডাকা সম্মেলন। পরে নাছির তার নিজ বাসা সবুজবাগের মাতৃছায়ার কাচারি ঘরে ব্যানার টানিয়ে তড়িঘড়ি করে সম্মেলনের প্রাথমিক কাজ শেষ করেন। দুই একদিনের মধ্যেই কমিটি ঘোষণা করার কথা বলেও আজো সেই কমিটি ঘোষণা দিতে পারেননি।
এ অবস্থায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, দল এমনিতেই মহাসংকটে। দুই পক্ষ মিলে সমন্বয় করে কমিটি দিয়ে নেতা নির্বাচন করুক। আমরা সুসংগঠিত নেতৃত্ব চাই। এজন্য জেলা বিএনপি ও দলের নীতি-নির্ধারকদের হস্তক্ষেপ কামনা করি।