মেঘ দেখলেই বাজে ছুটির ঘণ্টা
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
মেঘ-দেখলেই-বাজে-ছুটির-ঘণ্টা
জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে এলাকার শিক্ষা অনুরাগী কিছু ব্যক্তি নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ২৪০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলও অব্যাহত রেখেছে। বিদ্যালয়ে ৫-৭টি কক্ষ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৩টি কক্ষ। এ কারণেই শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে সহকারী শিক্ষিকা আকলিমা বিদ্যালয়ের আঙিনায় গাছের নিচে বেঞ্চ পেতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন।
শিক্ষার্থী আসমা আক্তার জানায়, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে গাছতলায় বসে পাঠদান করতে হয়। শব্দের কারণে পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারছে না।
আরেক শিক্ষার্থী আহিয়ান রহমানের ভাষ্য, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করছি। বৃষ্টি হলে আর বাইরে ক্লাস করা সম্ভব হয় না। ক্লাস বাতিল করতে হয়। এতে আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক আতাউল হক বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ২০১৮ সালে নতুন ভবন তৈরির জন্য মাটি পরীক্ষা করে নিলেও কী কারণে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে না তা জানা নেই। তবে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেন স্কুলের জন্য শিগগিরই একটি নতুন ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ফিরে আনা হোক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনসার উদ্দীন বলেন, শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বিষয়টি জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে। তবে চলমান অর্থ বছরে একটি নতুন ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।