মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বগুড়ায় পিটিয়ে হত্যা: বিএনপি নেতাসহ ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার

বগুড়ায়-পিটিয়ে-হত্যা-বিএনপি-নেতাসহ-১১-জনের-যাবজ্জীবন

বগুড়ায়-পিটিয়ে-হত্যা-বিএনপি-নেতাসহ-১১-জনের-যাবজ্জীবন

বগুড়া সদরে শাহজাহান নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে বিএনপি নেতা রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধাসহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নাছিমুল করিম হলি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা রশিদুল ইসলাম ওরফে রশিদ মৃধা বগুড়া সদরের মহিষবাথান গ্রামের রেজাউল করিম মৃধার ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- বিপ্লব মিয়া, জুয়েল প্রামাণিক, রাসেল মিয়া, সবুজ আকন্দ, উজ্জ্বল আকন্দ, আব্দুল মান্নান, পিলু খন্দকার, মোখলেছার রহমান মুকুল, জাহেদুর রহমান ও আব্দুল হামিদ খোকা আকন্দ। তারা সবাই সদরের দক্ষিণভাগ গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রাসেল, বিপ্লব ও জুয়েল পলাতক রয়েছেন। আর অন্য সবাই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

নিহত শাহজাহান শেখেরকোলা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে।

জানা যায়, ২০০৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সদরের দক্ষিণভাগ গ্রামে শাহজাহানকে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর দিনই ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রশিদ মৃধাকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই মাহমুদুর রহমান। একই বছরের ১১ জুন এ মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। চূড়ান্ত অভিযোগপত্রেও ঐ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

আইনজীবী নাছিমুল করিম হলি জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সাজার আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।