গৃহবধূকে ধর্ষণ-হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
গৃহবধূকে-ধর্ষণ-হত্যার-দায়ে-৫-জনের-যাবজ্জীবন
সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান। রায় ঘোষণার সময় আব্দুল্লাহ মেম্বার ছাড়া সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আটঘরিয়ার গোপালপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী, আবু বকর শেখের ছেলে লিটন শেখ, তামেজ শেখের ছেলে আব্দুল্লা মেম্বার, মৃত তজিম উদ্দিনের ছেলে খোয়াজ শেখ এবং আব্দুস সালাম শেখের ছেলে আজমত শেখ। মামলার অপর দুই আসামি জিন্নাহ আলী ও আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী গোপালপুরের কাজির বাজারে যান তার ছেলে। এরপর রাতে ফিরে দেখেন বাড়িতে মা নেই। তার মা হয়তো নানির বাড়ি গেছেন ভেবে খাবার খেয়ে দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন আসেননি তার মা। পরে মামা বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান তিনি।
এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি আত্মীয়-স্বজনরা। ঘটনার তিন দিন পর প্রতিবেশীর হলুদ ক্ষেতে লিচুগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে লাশ শনাক্ত করে স্বজনরা।
ঘটনার ৪ দিন পর আটঘরিয়া থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই সিদ্দিক প্রামাণিক। মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আজ এ রায় দিয়েছে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সাক্ষ্য ও তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। আদালত তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আমার মক্কেলরা।