লক্ষ্মীপুরে এলেন আরো এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী, করলেন বিয়ে
প্রকাশিত : ১২:১৫ এএম, ১০ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
লক্ষ্মীপুরে-এলেন-আরো-এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী-করলেন-বিয়ে
মালয়েশিয়ায় চাকরির সুবাদে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী সিতি রাহাইউ ও বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের যুবক মামুন হোসেনের প্রেমের সম্পর্কের সূত্রপাত। অবশেষে দীর্ঘ ৫ বছর প্রেমের সম্পর্কের পর ছুটিতে লক্ষ্মীপুরে তারা দুজন এসেছেন।
আর বাংলাদেশে এসে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন। রোববার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার মাধ্যমেই এফিডেভিট ও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ৭ মাসের মাথায় ইন্দোনেশিয়ার দুই তরুণী রায়পুরে ছুটে এসেছেন।
এর আগে, গত ৮ মার্চ প্রেমের টানে একই উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদের কাছে ছুটে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া। পরে তারা লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী মারুফ বিন জাকারিয়ার মাধ্যমে এফিডেভিট করে বিয়ে করেন।
ফানিয়া এখন বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। রাসেলের ব্যবসার সুবাদে তারা ঢাকায় থাকেন। সেখানে তারা সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন। রোববার রাতে রাসেল নিজেই প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার বিকেলে মালয়েশিয়ার থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মামুন ও সিতিকা। পরে মামুন তাকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কেরোয়া গ্রামে সাজী বাড়িতে নিয়ে আসেন। রোববার লক্ষ্মীপুর আদালতে উপস্থিত হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে তারা এটি প্রচারে আগ্রহী নয়।
সিতি রাহাইউ ইন্দোনেশিয়ার বিনজাই শহরের ফুনুং কারাংয়ে বাসিন্দা মৃত জুমিরান ও রাতনারিং দম্পতির মেয়ে। মামুন হোসেন রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রফিক উল্লাহ ও সেতারা বেগমের ছেলে। তারা মালয়েশিয়ার রাজধানীতে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
মামুনের বরাত দিয়ে আইনজীবী শাকিল পাটওয়ারী জানায়, ২০১৭ সালে চাকরির সুবাদে মালয়েশিয়ায় সিতির সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। এরপর তাদের বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে বিয়ের জন্য সুদূর মালয়েশিয়া থেকে তারা দুইজনে এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ছুটি শেষে তারা মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন। তবে সিতি বাংলাদেশে থাকার জন্য আগ্রহী।