মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষায় মাথা কেটে স্বামীকে খুন করেন স্ত্রী
প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার
মেয়ের-সম্ভ্রম-রক্ষায়-মাথা-কেটে-স্বামীকে-খুন-করেন-স্ত্রী
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার ডোমজুড় শহর থেকে দশমীর দিনে রেলকর্মী সুরেশ মাথাহীন মরদেহ উদ্ধারের পর তার আটক স্ত্রী স্ত্রী রাজেশ্বরী সাউ এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সুরেশকে খুনের অভিযোগে রাজেশ্বরীসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডোমজুড় থেকে সুরেশের বস্তাবন্দি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হলেও তার কাটা মাথা পাওয়া গেছে সলপে। তদন্তে জানা গেছে, সুরেশ রাজেশ্বরীর দ্বিতীয় স্বামী। রাজেশ্বরী আদতে বিশাখাপত্তনমের বাসিন্দা। তাদের দুইজনের বছর ১১ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজেশ্বরী পুলিশকে জানান, সুরেশ মেয়ের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাদ চরমে ওঠে। এ কারণেই মেয়েকে নিয়ে তিনি মাস আগে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, সুরেশের নিকৃষ্ট এ আচরণ মেনে নিতে পারেননি। মেয়ের সম্মান ও সম্ভ্রম রক্ষা করতেই স্বামীকে খুনের ছক আঁকেন রাজেশ্বরী। তদন্তে জানা গেছে, সুরেশের একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা নিয়েও ‘বিরক্ত’ ছিলেন রাজেশ্বরী।
রাজেশ্বরী ছাড়াও সুরেশের শ্যালিকার ছেলে জে শেখর ও স্বপন সাঁতরা ওরফে মিঠুন নামে এক গ্যারেজ মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দাবি করেছেন, সুরেশের একটি দূরপাল্লার বাস রয়েছে। তার দেখভাল করতেন মিঠুন। সুরেশের একাধিক বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী রাজেশ্বরীর সঙ্গে তার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। দুইজনই আলাদা থাকতেন। সেই সময় রাজেশ্বরীর সঙ্গে মিঠুনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সুরেশের ঐ দূরপাল্লার বাসের মালিকানা হাতে পেতে তাকে খুনের ছক আঁকেন মিঠুন।
পুলিশ আরো জানতে পেরেছে, শেখরের বোন অর্থ্যাৎ স্ত্রীর ভাগনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সুরেশের। তার জেরে শেখরের বোন সন্তান সম্ভবাও হয়ে পড়েন। সেই আক্রোশ থেকে সুরেশকে খুনের পরিকল্পনায় শেখরও যোগ দেন বলে পুলিশের ধারণা। তবে গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেকের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।