সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিমিয়ার সেই সেতুতে বিস্ফোরণের পেছনে কারা?

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার

ক্রিমিয়ার-সেই-সেতুতে-বিস্ফোরণের-পেছনে-কারা

ক্রিমিয়ার-সেই-সেতুতে-বিস্ফোরণের-পেছনে-কারা

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের সেতুতে বিস্ফোরণের পর  কিয়েভ আনন্দ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে তারা এ হামলার পেছনে জড়িত থাকার ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি।  তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, কিয়েভের এ প্রতিক্রিয়া তাদের ‘সন্ত্রাসী চরিত্র’ তুলে ধরেছে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, সেতুতে বিস্ফোরণের জন্য এখনো ইউক্রেনকে সরাসরি দায়ী করেনি  মস্কো। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো বলেন, যে ট্রাকটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেটি রাশিয়ার দিক থেকেই সেতুতে উঠেছিল। তাই দায় সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব রাশিয়ায় খোঁজা উচিত।

কারা এ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে বিবিসির ইউক্রেন সংবাদদাতা পল এডামস তার অনুসন্ধান করেছেন। তিনি বলেন, বিস্ফোরণ ঘিরে বেশ কিছু আলোচনা সামনে আসছে। এটি ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনীর হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, এমনকি আত্মঘাতী বোমা হামলাও হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর একজন সাবেক বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পল এডামস এ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এটি সুনিপুণ নাশকতার একটি দৃষ্টান্ত। বিস্ফোরণের কারণ, পানির নিচ থেকে সুপরিকল্পিত হামলা হতে পারে। এমন কাঠামোগত ধ্বংসের পেছনে একটি ব্যবস্থাকে ধসিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকে।

সেতুতে বিস্ফোরণ নিয়ে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা স্পষ্ট কিছু বলছেন না। এ কারণে অনেকটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। গত আগস্টে ক্রিমিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময়ও একই আচরণ করেছিল ইউক্রেন।

ঐ বিমানঘাঁটিতে হামলার সঙ্গে এবারের সেতুতে হামলা একই প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করছেন পল এডামস। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দক্ষিণ ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে ব্যবহার করছে। এ হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার সেই সক্ষমতা খর্ব হবে। শনিবার যে সেতুটিতে হামলা হয়েছে, সেটি দিয়ে রাশিয়া থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক রসদ পাঠানো হতো। তবে এখন তা মস্কোর জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।