নেত্রকোণায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত সুব্রতের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার
নেত্রকোণায়-বিএনপি-নেতার-হামলায়-আহত-সুব্রতের-মৃত্যু
শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিএনপি নেতার হামলায় আহতের ১০ দিন পর তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুব্রত সাংমা’র চাচাতো ভাই রেমন্ড আরেং।
সুব্রত সাংমা এবার ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। এর আগে তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি কুল্লাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। তিনি সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত প্রমোদ মানকিনের ভাতিজা।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ও নিহতের বড় ভাই বিজয় সাংমা জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাশিমণি বাজারে কুল্লাগড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল আওয়াল ও চেয়ারম্যানের ভাই মো. শামিম আহমেদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুব্রতের ওপর হামলা করা হয়।
আহত সুব্রতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে নেয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর এলাকায় জানাজানি হলে উত্তাল হয়ে উঠে দুর্গাপুর। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন সুব্রতের অনুসারীরা। উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় পরদিন শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন সুব্রতের বোন কেয়া সাংমা। ওই মামলায় প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়াল, শামিম ও মো. বদিউজ্জামানসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।