সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

এক দশক বিয়ে ছাড়াই শারীরিক সম্পর্ক, তরুণীকে যা বললেন আদালত

প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার

এক-দশক-বিয়ে-ছাড়াই-শারীরিক-সম্পর্ক-তরুণীকে-যা-বললেন-আদালত

এক-দশক-বিয়ে-ছাড়াই-শারীরিক-সম্পর্ক-তরুণীকে-যা-বললেন-আদালত

বিয়ে ছাড়াই এক দশক বিবাহিত এক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন তরুণী। সেই তরুণীর করা ধর্ষণ মামলার রায় দিয়েছেন কেরালার উচ্চ আদালত।

আদালত বলেন, বিবাহিত জনার পরও অনেকে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। আবার হঠাৎ সেই যৌনসঙ্গীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে ধর্ষণ মামলা করা হয়। এ অভিযোগ বৈধ হতে পারে না। এটাকে প্রেম ও আবেগের সম্পর্ক বলা যেতে পারে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহারকে অপরাধ বলা যায়। কিন্তু দুজনের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণকে প্রতিষ্ঠিত করে না।

২০১০ সালে কেরালার এক তরুণীর সঙ্গে শ্রীকান্ত শশীধরন নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। ২০১৩ সালে ঐ যুবকের স্ত্রী রয়েছেন বলে জানতে পরেন তরুণী। বিয়ের কথা জেনেও ঐ সম্পর্ক থেকে বের হতে চাননি তরুণী। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিল তাদের সেই সম্পর্ক। তারপর ঐ তরুণী প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা ও ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

তরুণীর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পালন করছেন না শ্রীকান্ত। তরুণীর এ দাবির অস্বীকার করে উচ্চ আদালতে যান যুবক। তার বক্তব্য, ঐ তরুণীর সঙ্গে ভালোবাসা ও শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি তিনি অস্বীকার করেন। 

তরুণীর জবানের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ জানায়, ঐ যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পালন না করার অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে অনেক মেয়ের সম্পর্কও রয়েছে।

এমনকি তরুণী দাবি করেছেন, বিবাহবিচ্ছেদের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতেন যুবক। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে- প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে সম্পর্ক চালানো তরুণী এতদিন কোনো অভিযোগ করেননি। হঠাৎ তার অভিযোগের অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাছাড়া তরুণী পুলিশকে যে জবানবন্দি দিয়েছেন সেটাকে সত্য হিসেবে ধরলে বলা যায়, সম্পর্কের বিষয়ে যুবকের গোপনীয় তথ্য জানতেন তরুণী। এরপরও কেন সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে গেলেন তরুণী? এতদিন কি তিনি সমর্থন করেছিলেন?

আদালতের মতে, এ ধরনের দম্পতির মধ্যে যেকোনো সম্পর্ককে শুধু প্রেম এবং আবেগের ফল বা কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। এর মধ্যে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে মামলাকারী যুবকের বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগই বাতিল হলো। এ মামলায় তার কোনো দোষ দেখছে না আদালত।