সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সংশোধন হচ্ছে মাছ রক্ষা-সংরক্ষণ বিধি

প্রকাশিত : ১২:১০ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার

সংশোধন-হচ্ছে-মাছ-রক্ষা-সংরক্ষণ-বিধি

সংশোধন-হচ্ছে-মাছ-রক্ষা-সংরক্ষণ-বিধি

‘সাকার মাউথ ক্যাট ফিশ’ নিষিদ্ধ করতে সংশোধন করা হচ্ছে ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিশ রুলস, ১৯৮৫)। সম্প্রতি বিধির প্রস্তাবিত সংশোধনীর প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, বিধির বিধি-১৮ এর পরিবর্তে নতুন বিধি-১৮ প্রতিস্থাপিত হবে।

নতুন ১৮ বিধিতে বলা হয়েছে-
১. মাছের প্রজাতির আমদানি, প্রজনন, কালচার, বিক্রি ইত্যাদি নিষিদ্ধ: কোনো ব্যক্তি ক্ল্যারিয়াস গ্যারিপিনাস (স্থানীয় নাম-আফ্রিকান মাগুর) মাছ আমদানি, বংশবৃদ্ধি, কালচার, বহন, বিক্রয়, গ্রহণ, মজুত, উন্মুক্ত করা এবং অধিকারী হতে পারবেন না।

২. কোনো ব্যক্তি ‘সাকার মাউথ ক্যাট ফিশ’ গ্রুপের যে কোনো প্রজাতির মাছ আমদানি, বংশবৃদ্ধি, কালচার, বহন, বিক্রয়, গ্রহণ, বাজারজাত, মজুত, উন্মুক্ত করা ও অধিকারী হতে পারবেন না।

এ সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে এ আপত্তি বা পরামর্শ লিখিতভাবে এ প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সরকার বিবেচনা করবে। এ সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা পরামর্শ না পাওয়া গেলে এ সংশোধনী চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

দেশের সব ধরনের জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যাকুয়ারিয়ামের শোভাবর্ধক ও আবর্জনাভুক ‘সাকার’ মাছ। দ্রুত বংশবিস্তারের মাধ্যমে দখল করছে অন্য মাছের আবাসস্থল। উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছের ডিম ও নিচের শ্যাওলা-আবর্জনা খেয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে খাদ্যশৃঙ্খলে। খাবার হিসেবে অত্যন্ত নিম্নমানের এই মাছ দ্রুত দখল নিচ্ছে জলাশয়ের। সব মিলিয়ে এটি এখন দেশি মাছের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে এবার মাছটি নিষিদ্ধে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।