হ্যাকারের কবলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ৯ অক্টোবর ২০২২ রোববার
হ্যাকারের-কবলে-ইরানের-রাষ্ট্রীয়-টেলিভিশন
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রাষ্ট্র-চালিত ঐ টেলিভিশনটি হ্যাকিংয়ের পর টেলিভিশনের পর্দায় একটি মুখোশ উপস্থিত হয়। পরে মুখোশের চারপাশে শিখাসহ সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির ছবি দেখা যায়।
বিবিসি বলছে, নিউজ বুলেটিনের সময় হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংবাদ সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত করা হয়। হ্যাকের ঘটনার পর টিভি পর্দায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মাথায় লক্ষ্যবস্তু করে মাশা আমিনির ছবি। সাম্প্রতিক বিক্ষোভে নিহত অন্য তিন নারীর ছবিও প্রদর্শন করা হয়।
ছবির ক্যাপশনগুলোর মধ্যে একটিতে লেখা ‘জেগে উঠুন এবং আমাদের সঙ্গে যোগ দিন’। অন্য একজন বলেছেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের যুবকদের রক্তঝরছে’। অবশ্য হ্যাকিংয়ের এ ঘটনাটি মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
বিবিসি বলছে, ইরানে প্রায় সম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের বিদ্রোহ প্রদর্শন ইরানের ইতিহাসে বিরল। কিন্তু মাশা আমিনির মৃত্যুর পর কিছু প্রকাশ্য ভিন্নমত দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, হিজাব পরিপূর্ণভাবে না পরার অভিযোগে তেহরান থেকে মাশা আমিনি নামের এক কুর্দি তরুণীকে আটক করেছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। তাকে আটকের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি কোমায় চলে যান। এরপর তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, তাকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ইরান কর্তৃপক্ষ বলছে, ছোটবেলায় মাশার ব্রেনটিউমারের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। আটকের পর তিনি তাৎক্ষণিক মানসিক চাপ নিতে না পেরেই গুরুতর অসুস্থ হন। এতেই তার মৃত্যু হয়।