কালুরঘাট সেতু: ৮ মাসেই মিলবে সমীক্ষা প্রতিবেদন
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
কালুরঘাট-সেতু-৮-মাসেই-মিলবে-সমীক্ষা-প্রতিবেদন
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতুর মেরামত শেষ হবে। এরপর এ সেতু দিয়েই ছুটে চলবে কক্সবাজার রুটের ট্রেন। শুরুর দিকে প্রতিদিন একটি করে ট্রেন চলাচল করবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়। ফলে বুয়েটের পরামর্শে সেতুটি মেরামত করে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পরামর্শ ফি বাবদ আট কোটি ৬০ লাখ টাকা নেবে বুয়েট।
তারা আরো জানান, নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় এখন প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি করা হবে। এরপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সঙ্গে ঋণ চুক্তি শেষে একনেকে উঠবে। একনেকে অনুমোদনের পর টেন্ডার শেষে ঠিকাদার নিয়োগ হবে।
জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে চুক্তির পর গত ৪ অক্টোবর বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল কালুরঘাট সেতু পরিদর্শন করে। দলটির সদস্যরা আরো পরিদর্শন ও বৈঠক করবেন। চুক্তি অনুযায়ী আট মাসের মধ্যে কালুরঘাট সেতু সংস্কারের সমীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও আশা করছি আরো আগে আমরা এটি পাবো। বিশেষজ্ঞ দল প্রতিবেদন জমা দিলে আমরা সংস্কার কাজের টেন্ডার আহ্বান করবো।
কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল পুরো লেগে যাবে। ২০২৪ সালের শুরুতে আমরা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবো। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ। এরই মধ্যে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা সব কাজ শেষ করে ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।
কালুরঘাট সেতুটি স্থানীয়ভাবে কালুরঘাটের পোল নামে পরিচিত। ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে কর্ণফুলী নদীর ওপর এ সেতু নির্মিত হয়। যেটির বয়স এখন ৯০ বছরের বেশি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দুই দশক আগে ২০০১ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রেলওয়ে। পরে ২০১১ সালে এটিকে চূড়ান্তভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একদল গবেষক।