অবাধে চলছে নিষিদ্ধ জুয়ার আসর
প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
অবাধে-চলছে-নিষিদ্ধ-জুয়ার-আসর
জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর ইউপির দেওসহিলা নয়াবাড়ির আক্কাস মিয়ার ঘরে, বনতিয়শ্রী গ্রামের সামনে নৌকায়, দেওসহিলা গ্রামের সামনের হাওরে নৌকায়, ফতেপুর দেওয়ানবাড়ি বাজারের পেছনে ও ফতেপুর গুচ্ছগ্রামের একটি ঘরে প্রতিদিন বসে জুয়ার আসর। একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিলে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ওই স্থানগুলোতে এক মাসের বেশি সময় ধরে চালাচ্ছে নিষিদ্ধ জুয়ার আসর। এতে এলাকার উঠতি বয়সের যুবক, আলোচিত জুয়াড়িরা এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা জুয়াড়িরা এখানে লাখ লাখ টাকার হাত বদল করছে। প্রতিদিন এ চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকা খুইয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকেই। এই জুয়াকে কেন্দ্র করে স্পটে চলে সমাল তালে নেশা গ্রহণ ও মাদক কারবার। জুয়া ও মাদকের মোহে পড়ে অনেকে বসছেন পথে। চলমান জুয়া ও মাদকের আসর নিয়ে এ অঞ্চলের অভিভাবক ও তাদের পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জুয়ার আসর পরিচালক ও জুয়াড়ি জানান, দিন ও রাতে কয়েকটি স্পটে খেলা হয়। সবাইকে ম্যানেজ করেই জুয়ার আসর বসাতে হয়।
দেওসহিলা গ্রামের রোমান বলেন, জুয়া খেলায় আমার কিছু টাকা আটকা পড়ে গেছে। তাই টাকাগুলো উদ্ধার করতে যাই। অন্যরা জুয়া খেলে কিন্তু আমি খেলি না।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার (সফি) জানান, প্রতিদিনেই আমার ইউপির বিভিন্ন স্পটে জমজমাট জুয়ার আসর হচ্ছে। জুয়ার সঙ্গে হচ্ছে মাদকের আড্ডা। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। এ নিয়ে কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, জুয়া ও মাদকের ওপর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফতেপুর ইউপির জুয়ার আসরের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মদন উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ইউএনও তানজিনা শাহরীন জানান, জুয়া ও মাদকের আড্ডার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।