জ্ঞানের রাজ্যে ইস্টিশন পাঠাগার
প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
জ্ঞানের-রাজ্যে-ইস্টিশন-পাঠাগার
এক কাপ চায়ের বিনিময়ে বই পড়ুন- এ লক্ষ্যে রেলওয়ে প্লাটফর্মে ইস্টিশন পাঠাগারের উদ্যোগে বই সংগ্রহ কর্মসূচি যাত্রা শুরু হলো। শুক্রবার ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় জামালপুর ইস্টিশন পাঠাগারের উদ্যোগে রেলওয়ে প্লাটফর্মে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, ডা. আশিস কুমার মোদক, কমেডিয়ান রাকিবুল ইসলাম, বাদিক আসমাউল আসিফ, ইস্টিশন পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা আসাদুজ্জামান ও আতিফ আসাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোহাম্মদ আতিফ আসাদের দাবি জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশের ৪র্থ ইস্টিশন পাঠাগার চালু করলেন। এছাড়াও তার তত্ত্বাবধায়নে ময়মনসিংহসহ দেশের অনেক স্থানে স্টেশন পাঠাগার তৈরির কাজ চলছে। এ জন্য অনেক বই দরকার। যেটা তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এ কার্যক্রমকে আরো সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে আমাদের উদ্যোগকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।
তিনি ইস্টিশন পাঠাগার সম্পর্কে বলেন, এক কাপ চায়ের বিনিময়ে বই পড়ুন, এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে স্টেশন পাঠাগারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে এক কাপ চায়ের বিনিময়ে বই পড়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘সবার মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে বই ও পাঠাগার ছাড়া অন্য কিছু অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই বলব, দেশের সব জায়গায় এ পাঠাগার আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
অনুষ্ঠানের অতিথি আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, আগে যখন আমরা ছাত্র ছিলাম- তখন স্টেশনে বই এবং পত্রিকা পড়তাম। যুগের সঙ্গে তাল মিলেয়ে আজ সে স্টল বা লাইব্রেরির সংখ্যা কম গেছে। আজ আবারো সে আশার আলো জ্বালাতে মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোহাম্মদ আতিফ আসাদ জামালপুর ইস্টিশনে যে পাঠাগার স্থাপন করলেন তা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এক কাপ চা পানের বিনিময়ে বই পড়ে জ্ঞানের আলো জ্বালাবে বলে মনে করেন তিনি।
পরিবেশবিদ জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, জামালপুর স্টেশনে এ ধরনের একটি পাঠাগার খুবই প্রয়োজন ছিলো। দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রী সাধারণ এ পাঠাগারে সময় কাটানোর জন্য এক কাপ চা- পান করে বই পড়ে উদ্যোক্তার স্বপনকে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির ব্যাপকতায় বই পড়ার মতো একটি সুন্দর অভ্যাস ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ইস্টিশন পাঠাগারের মাধ্যমে অপেক্ষারত যাত্রীদের মূল্যবান সময়কে গঠনমূলক কিছুতে কাজে লাগাতে ক্ষুদ্র চেষ্টা। অপেক্ষার সময়টুকু যেন বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা করতে পারে- সত্যিই একটি ভালো ও প্রসংসনীয় উদ্যোগ।
ব্যতিক্রমধর্মী এ পাঠাগারের মাধ্যমে বইপড়া আন্দোলনকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান উদ্যোক্তা শেখ মোহাম্মদ আতিফ আসাদ। স্টেশনে অবস্থানরত যাত্রীরা যাতে বই পড়তে পারেন সে চেষ্টা করছি আমরা। দেশের অন্তত ১০০টি রেল স্টেশন পাঠাগার করবো আমরা। এর আগে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশনে প্রথম পাঠাগার চালু হয়। তারপর আরো দুটি শাখার চালু করা হয়।
সর্বশেষ জামালপুর রেলওয়ে জংশনে আরেকটি উদ্বোধন করা হয়। এ ইস্টিশন পাঠাগারে এলে চায়ের বিনিময়ে বই পড়ে জ্ঞানের আলো ছড়াবেন এমনি দাবি উদ্যোক্তা শেখ মোহাম্মদ আতিফ আসাদের।