বাল্যবিবাহের অপরাধে যুবককে কারাদণ্ড
প্রকাশিত : ০২:১৫ এএম, ৮ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
বাল্যবিবাহের-অপরাধে-যুবককে-কারাদণ্ড
একই সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় কনের অভিভাবককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের মগলিশপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মওলা (১৮)।
জানা যায়, শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টায় বিরামপুর পৌর শহরের চকপাড়া (শাহিনপুকুর) এলাকার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বিয়ের প্রস্তুতি চলার খবর পেয়ে ইউএনও পরিমল কুমার সরকার পুলিশ নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বর-কনে ও বরযাত্রীসহ অনেকে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কনের অভিভাবকের সঙ্গে কৌশলে কথা হলে বর ও কনেকে সেখানে হাজির করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার জানান, মওলার সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
বরপক্ষ সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। কনের বয়স ১৪ বছর ও বরের বয়স ১৮ বছর। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাল্যবিয়ের অপরাধে বর মওলাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মেয়েকে অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতির অপরাধে কনের অভিভাবককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বাল্যবিবাহ দেবেন না মর্মে মেয়ের দাদী ও ফুফুর মুচলেকা নেওয়া হয়।
ইউএনও আরো বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এজন্য সাধারণ মানুষকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নওয়াবুর রহমান বলেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বর মওলাকে শনিবার সকালে দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো হবে।