স্কুলের টয়লেটে ১১ বছরের ছাত্রীকে গণধর্ষণ করলো দুই ছাত্র
প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার
স্কুলের-টয়লেটে-১১-বছরের-ছাত্রীকে-গণধর্ষণ-করলো-দুই-ছাত্র
ডিসিডাব্লিউ এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ঐ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
বুধবার এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ডিসিডাব্লিউ। সংস্থটির চেয়ারপার্সন সাথি মালিওয়াল বলেন, দিল্লিতে সরকার পরিচালিত একটি স্কুলে নিজের শ্রেণিকক্ষে যাচ্ছিল ১১ বছরের এক ছাত্রী। যাওয়ার সময় দুটি ছেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার। ঐ দুই ছাত্র একই স্কুলের সিনিয়র ছাত্র।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বরাতে তিনি বলেন, ধাক্কার পর দুই ছাত্রের কাছে ক্ষমা চান ঐ ছাত্রী। কিন্তু ছাত্রীকে গালাগালি দিতে শুরু করে দুই ছাত্র এবং তাকে টেনে স্কুলের টয়লেটে নিয়ে দরজা বন্ধ করে গণধর্ষণ করে তারা।
মালিওয়াল বলেন, ঐ ঘটনার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকার বিষয়ে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ছাত্রীর অভিযোগ, ঘটনার ব্যাপারে এক শিক্ষককে জানানোর পর তাকে বলা হয় যে, ধর্ষণকারী দুই ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মালিওয়াল বলেন, এটা অনেকটা দুর্ভাগ্য যে, রাজধানীতে থাকা সরকার পরিচালিত স্কুল শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। ঐ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অব্যশই তদন্ত করে দেখা উচিত। একইসঙ্গে ঘটনা প্রকাশ না করায় স্কুলের শিক্ষক, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনার বিষয়ে অধ্যক্ষকে জানায়নি। তবে ঐ ঘটনায় একটি তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধের আইনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তে শিক্ষক ও অভিযুক্ত ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
২০১২ সালে দিল্লিতে বাসের মধ্যে এক তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটে। সেই থেকে ভারতে যৌন সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ঐ ভয়াবহ ঘটনা ভারতসহ বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তখন ধর্ষণবিরোধী কঠিন আইন অর্থ্যাৎ ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে ভারত সরকার। কিন্তু কঠিন আইনের পরও ভারতে নারীদের বিরুদ্ধে যৌন সহিসংতা কমেনি।
সূত্র- বিবিসি।