বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিচ্ছিন্ন দ্বীপে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

বিচ্ছিন্ন-দ্বীপে-ওয়াটার-অ্যাম্বুলেন্স

বিচ্ছিন্ন-দ্বীপে-ওয়াটার-অ্যাম্বুলেন্স

সম্পর্কিত খবর রোগী দেখছেন অ্যাম্বুলেন্সচালক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন। কদিন আগেও এখানকার বাসিন্দারা হাসপাতালে সেবা নিতে পাড়ি দিতে হতো নৌকা। সহজে চিকিৎসা না পেয়ে অনেকে রোগ নিয়ে নিজের ঘরেই কাতরাতেন। এবার বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপের মানুষের জন্য চালু হয়েছে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স।

চর আবদুল্লাহসহ উপকূলীয় ২০ হাজার মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে স্বপ্নযাত্রা ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুরের ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার রামগতি পৌর শহরের চর আলেকজান্ডারের মেঘনা নদীতে এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর দায়িত্বরতদের মাছে চাবি হস্তান্তর করেন ডিসি। প্রথমবারের মতো ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স চালু হওয়ায় খুশি মেঘনা অঞ্চলের বাসিন্দারা।

আয়োজকরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আলেকজান্ডার বেড়িবাঁধ এলাকায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জাইকা, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি কেনা হয়।

রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, মেঘনা নদীর পাশেই আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। অ্যাম্বুলেন্সটির মাধ্যমে খুব সহজেই সেবা নিতে পারবেন দুর্গম চরের মানুষ। এখন আর কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে হবে না।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, চর আবদুল্লাহ উপজেলা থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন। এখানকার মানুষ অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রসূতিদের হাসপাতাল আনা সম্ভব হয় না। বিষয়টি বিবেচনা করে স্বপ্নযাত্রা ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করা হয়েছে। চর আবদুল্লাহর বাসিন্দা ছাড়াও নদীতীরবর্তী এলাকার সব মানুষ সেবা নিতে পারবেন। এখানে সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দেওয়া হবে।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর শুরু হয় এ যাত্রা। গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামে অনলাইন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ও অ্যাপ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় তখন। ওই সময় মেঘনা উপকূলীয় এলাকার চর বাদাম ইউনিয়নের একটি রেস্তোরাঁয় ফিতা কেটে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। ৫৮টি ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে নিশ্চিত করা হবে এ সেবা।

সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে রয়েছে এ অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া রায়পুর, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নেও রয়েছে এ সেবা। নির্দিষ্ট মূল্যে সেবা পাবে ইউনিয়নের বাসিন্দারা।