সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কে এই আলেস বিলিয়াতস্কি?

প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

শান্তিতে-নোবেল-বিজয়ী-কে-এই-আলেস-বিলিয়াতস্কি

শান্তিতে-নোবেল-বিজয়ী-কে-এই-আলেস-বিলিয়াতস্কি

২০২২ সালে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন দুটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেছে- রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ। ব্যক্তি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি। মনোনয়ন ঘোষণার পরই বিশ্বব্যাপী আলোচনায় চলে আসেন আইনজীবী আলেস।

আলেস বেলারুশের বাসিন্দা। তিনি একজন মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী। ৬০ বছরের এ আইনজীবী বেলারুশের প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মীও। তিনি এখন বিচার ছাড়াই বন্দি রয়েছেন বেলারুশের কারাগারে।

১৯৯৬ সালে সড়কে বিক্ষোভ দমনের জন্য বেলারুশের সর্বোচ্চ নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর চালানো বর্বর হামলার প্রতিবাদে ভিয়াসনা মানবাধিকার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন আলেস বিলিয়াতস্কি।

বেলারুশ কর্তৃপক্ষের হাতে রাজনৈতিক বন্দিদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে ডকুমেন্টারি তৈরি ও বন্দিদের পরিবারগুলোকে সমর্থন দেয় ভিয়াসনা। সংগঠনটি কারাগারে পাঠানো বন্দিদের সমর্থন করে থাকে। 

দ্যা নরোয়িান নোবেল কমিটির প্রধান বেরিত রেইস-অন্ডারসন আলেস সম্পর্কে বলেন, বেলারুশের শান্তির উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত করতে আলেস তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।

২০১১ সালে কর ফাঁকির মামলায় তিন বছরের সাজা ভোগ করেন আলেস বিলিয়াতস্কি। যদিও তিনি সবসময় এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে, ২০২০ সালে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে লুকাশেঙ্কোর ক্ষমতায় রাখার অভিযোগ তোলে বিরোধীদল। বিরোধীদলের বিক্ষোভের সময় তাকে আটক করা হয়।

২০২০ সালে আটকের দুই বছর আগে বেলারুশের বিভিন্ন অংশ থেকে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। তখন আলেস বিলিয়াতস্কি তার ফেসবুক পেজে লিখেন, একটি দখলদার রাজ্যের মতো আচরণ করছে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের শাসন ক্ষমতায় রয়েছেন লুকাশেঙ্কো। পশ্চিমাদের ভাষায়, ইউরোপের শেষ স্বৈশাসক হচ্ছে লুকাশেঙ্কো। লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের প্রথম দিন থেকে বেলারুশের ভূমি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া বেলারুশের মাটি ব্যবহার করে রাশিয়া ইউক্রেনে প্রাণঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় লুকাশেঙ্কোর সহায়তা রয়েছে বলে অভিযোগ করে থাকে পশ্চিমারা।