সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

১৯৬২ সালের পর পরমাণু যুদ্ধের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বিশ্ব: বাইডেন

প্রকাশিত : ০৪:৫০ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

১৯৬২-সালের-পর-পরমাণু-যুদ্ধের-সর্বোচ্চ-ঝুঁকিতে-বিশ্ব-বাইডেন

১৯৬২-সালের-পর-পরমাণু-যুদ্ধের-সর্বোচ্চ-ঝুঁকিতে-বিশ্ব-বাইডেন

১৯৬২ সালে কিউবায় পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর এবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে ঘিরে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্ব। শুক্রবার বাইডেন তার ডেমোক্রেট সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

বাইডেন বলেন, ইউক্রেনের রুশ সেনাদের পরাজিত হওয়ার কারণে কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যহারের কথা বলছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ বক্তব্য কোনো কৌতুক নয়।

তিনি বলেন, পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসবে বলে বিবেচনার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, পুতিনের পারমাণবিক সামরিক আস্ফালন গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত।

বাইডেন বলেন, পুতিন কৌশলত পরমাণু, জীব ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা যা বলেন তা কৌতুক নয়। কারণ তার সামরিক বাহিনী খুব বাজেভাবে পরাস্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকেটর পর এবার সরাসরি পুতিনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের হুমকি পাওয়া গেছে। আসলেই যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার হয় তবে সেগুলো চলতেই থাকবে। আমরা কেনেডি এবং কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হইনি।

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট কি ছিল?

১৯৬২ সালের অক্টোবরে ১৩তম দিনে বিশ্বের দুটি পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। তখন পরমাণ অস্ত্র নিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। 

তখন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেই কিউবায় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা নিকিতা খ্রোশচেভ। তিনি ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউইয়র্ক সিটিকে লক্ষ্য করেই পরমাণু অস্ত্র স্থাপন করেন। এ পদক্ষেপ নিয়ে মার্কিন নতুন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে পরীক্ষা করেন নিকিতা খ্রোশচেভ। 

প্রথমে কেনেডি কিউবায় পূর্ণমাত্রায় হামলার পরিকল্পনা করেন। তবে পরবর্তীতে নৌপথে দেশটিকে বেরিক্যাড দেন। এতে সোভিয়েত ইউনিয়নকে রাশিয়ায় তাদের অস্ত্র নিতে বাধ্য করা হয়।

এর আগে, ৩০ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর জাপানে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ মন্তব্য পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার এড়িয়ে যায়নি। ঐ সময় পুতিন বলেন, রাশিয়ার অঞ্চল রক্ষায় সবধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।