বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটকে মুখর রাঙ্গামাটি, খালি নেই হোটেল-মোটেল

প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

পর্যটকে-মুখর-রাঙ্গামাটি-খালি-নেই-হোটেল-মোটেল

পর্যটকে-মুখর-রাঙ্গামাটি-খালি-নেই-হোটেল-মোটেল

শারদীয় দুর্গোৎসব এবং পবিত্র ঈদে মিল্লাদুন্নবীসহ সরকারি চারদিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখর রূপের রানি খ্যাত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। খালি নেই হোটেল-মোটেলও।

পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে,পর্যটকের সমাগম। বুধবার থেকেই রাঙ্গামাটিতে চলছে পর্যটকের আনাগোনা। টানা ছুটি থাকায় পরিবার এবং আপনজন নিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এবং মনের প্রশান্তির খোঁজে দেশের নানা প্রান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ ছুটে এসেছেন রাঙ্গামাটিতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মনোরম ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো পার্ক, জেলা পুলিশের পলওয়েল পার্কে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। এখান থেকে প্রকৃতিপ্রেমীরা পাহাড় ঘেরা শান্তজলের হ্রদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে পাড়ি জমাচ্ছেন, শুভলং ঝরনাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে। এছাড়া রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি সাজেকেও ছুটছেন পর্যটকরা।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক ফারিয়া বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি, না আসলেই বুঝতে পারতাম না সৃষ্টিকর্তার এমন অপরূপ সৌন্দর্য। এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে যে কেউ প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবে।

ঢাকা থেকে আসা আরেক পর্যটক রিদিতা বলেন, পলওয়েল পার্কসহ রাঙ্গামাটি বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরেছি। খুবই ভালো লাগল প্রকৃতির দৃশ্য। সবচেয়েই বেশি মুগ্ধ করছে পাহাড় ঘেরা শান্তজলের কাপ্তাই হ্রদ।

রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক মো. আমিন বলেন, পরিবার নিয়ে সাজেকে ঘুরে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরেছি। বেশ ভালোই লেগেছে। আমি মনে করি দেশকে জানার জন্য প্রত্যেক মানুষের ভ্রমণের প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক মো. রাশেদ জানান, দুইদিন ধরে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরছেন। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য্যে দেখে তিনি মুগ্ধ।

পর্যটন ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির ম্যানেজার মো. রমজান আলী জানান, পর্যটক বাড়ায়  তাদের ট্যুরিস্ট বোটগুলো ভালোই ভাড়া হচ্ছে এবং আগামী দুইদিনের বন্ধে পর্যটক বাড়লে তাদের বোটগুলো আরো বেশি ভাড়া হবে।

হোটেল সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল এর ব্যবস্থাপক মো. শরিফুল আলম শরিফ জানান, বুধবার থেকে তার হোটেলের সবগুলো রুম বুকিং রয়েছে। একটি রুমও খালি নেই। পর্যটক আসায় তাদের ভালোই ব্যবসা হচ্ছে।

হোটেল ইফশার ম্যানেজার মো. রবিউল জানান, চারদিনের ছুটিতে তাদের হোটেলের সবগুলো কক্ষ আগেই বুকিং হয়ে গেছে। এখনো অনেক পর্যটক ফোনে রুম বুকিং করতে চাচ্ছেন, দিতে পারছি না।

রাঙ্গামাটি পর্যটন ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, টানা ছুটি থাকায় পর্যটন ও হলিডে কমপ্লেক্সের আবাসিক রুমগুলো বর্তমানে ৮০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। সবগুলো রুম বুকিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।