বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে প্রথম দিনেই অসুস্থ দুই শতাধিক

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার

সেন্টমার্টিনগামী-জাহাজে-প্রথম-দিনেই-অসুস্থ-দুই-শতাধিক

সেন্টমার্টিনগামী-জাহাজে-প্রথম-দিনেই-অসুস্থ-দুই-শতাধিক

সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুই শতাধিক যাত্রী। কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে যাত্রার প্রথম দিনেই এমন পরিস্থিতিতে চরম হতাশ হয়েছেন তারা।

তাদের অভিযোগ, জাহাজটিতে দুর্গন্ধ এবং এসি কাজ না করায় গণহারে বমি শুরু হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই শতাধিক যাত্রী।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিওটি ঘাট থেকে ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’নামে একটি জাহাজ। তবে আসার সময় ফিরেছেন মাত্র ৩০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে।

জাহাজে থাকা এক যাত্রী বলেন, জাহাজটি যাত্রা শুরুর পর থেকে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়েন। জাহাজের সবকিছু খুব বাজে অবস্থা ও নোংরা ছিল। এছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজে একটু অস্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল।

অন্যদিকে জাহাজটির এসি ভালোভাবে কাজ করছিল না। জাহাজে দুর্গন্ধ ছিল। সবমিলিয়ে অসংখ্য পর্যটক বমি করতে শুরু করে। বমি আর বমিতে একাকার হয়ে ওঠে জাহাজ। এ সময় অনেকে অসুস্থ হয়ে জাহাজে শুয়ে পড়ে, শিশুরা কান্নাকাটি শুরু করে। জাহাজটিতে এক ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব কারণে জাহাজটি ১২টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার কথা থাকলেও পৌঁছেছে দুপুর ১টায়।

জাহাজের যাত্রী কেফায়েত উল্লাহ বলেন, বমি করতে করতে শেষ। চরম বাজে অবস্থা ছিল জাহাজটিতে। তারা টাকা নিয়ে মানুষের সঠিক সেবা দিতে পারছে না।

কেফায়েত বলেন, জাহাজটি বিকেল সাড়ে ৩টায় দ্বীপ থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। যাওয়ার সময় সাড়ে ৭০০ পর্যটক থাকলেও ফিরেছে কেবল ৩০ থেকে ৫০ জন। অতিরিক্ত ভোগান্তির কারণে অনেক পর্যটক ফিরে আসার কথা থাকলেও ফেরেনি।

পর্যটক সমির মল্লিক বলেন, দিনে দিনে সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার আশা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। দ্বীপে অবস্থান করছি। অসুস্থ শরীরে ফেরার সাহস হয়নি। জাহাজ ভ্রমণ এত কষ্টের তা জানা ছিল না।

এমভি কর্ণফুলী জাহাজের কক্সবাজার অফিসের ইনচার্জ হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, আমি কক্সবাজারে রয়েছি। জাহাজে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা না থাকলে বমি হওয়াটা স্বাভাবিক।

বাহাদুর আরো বলেন, জাহাজে  প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল, দুর্গন্ধ ছড়ানোর বিষয়টি সত্য নয়। তবে দীর্ঘদিন পর জাহাজটি চালু করাতে এসিসহ যান্ত্রিক কিছু ত্রুটি ছিল।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান  বলেন,  জাহাজে কিছু পর্যটকের অসুবিধার বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।