সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কেমন আছেন গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ রনি?

প্রকাশিত : ১০:২০ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার

কেমন-আছেন-গ্যাস-বেলুন-বিস্ফোরণে-দগ্ধ-রনি

কেমন-আছেন-গ্যাস-বেলুন-বিস্ফোরণে-দগ্ধ-রনি

গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ ‘মিরাক্কেল’ খ্যাত কৌতুকশিল্পী আবু হেনা রনিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কেবিনে ভর্তি আছেন। 

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এই প্রথম বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে চিরচেনা হাসিমুখ নিয়ে হাজির হন আবু হেনা রনি। তিনি বলেন, পূর্ণ সুস্থতা অনুভব করছি। যদিও এক হাতে ডিপ বার্ন এখনো আছে। কিন্তু আমার মানসিক শক্তি বলছে, আমি একেবারে আগের জীবনে ফিরে আসছি।

দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি জানান ভয়াল সেই ঘটনার বিবরণায় রনি বলেন, আইজিপি স্যার থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই বেলুন উড়িয়ে দিলেন। আমি পাশেই ছিলাম, কিন্তু বেলুনটা না উড়ে ভেসে আমাদের কাছে চলে আসে। আমি সেটা ধরে পড়তেছি যে কি লেখা। আমি আমার পারফরমেন্সের জন্য ক্লু খুঁজতেছিলাম। সে সময় অন্য পুলিশ সদস্যরা বিষয়টা খোঁজার চেষ্টা করছিলেন যে বেলুনটা কেন উড়ল না। যে এই বেলুনের দায়িত্বে ছিল সে মনে করেছে ভারী কিছু আছে, সেটা আগুন দিয়ে পুড়ে আলাদা করার চেষ্টা করে। তখন ১০০ বেলুন একসাথে হাইড্রোজেন বোমার মতো ব্লাস্ট হয়।

হাসপাতালের দিনগুলোর বিষয়ে রনি বলেন, এখানে বার্নের রোগীদের অনেক কেয়ার করতে হয়, স্কিন থেকে শুরু করে অনেক কিছু। প্রতি মুহূর্তে যে চেঞ্জ হয়, ব্যাথা হয় সেটাও চিকিৎসকরা এসে ঠিক করে দিয়ে গেছেন।

জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে ড্রেসিংয়ের পর তার ছাড়পত্রের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনে মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হন আবু হেনা রনি ও আরো চার পুলিশ। দগ্ধদের প্রথমে স্থানীয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। দগ্ধের মাত্রা বেশি হওয়ায় সেখান থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় রনি ও জিল্লুর রহমানকে। 

পরদিন ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, আবু হেনা রনির ২ হাত, কান ও মুখের কিছু অংশসহ শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের দগ্ধ হয়েছে ১৯ শতাংশ। তাদেরকে ড্রেসিংয়ের পর এইচডিইউতে রাখা হয়েছিল।