ঘাটাইলে বিএনপির দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
ঘাটাইলে-বিএনপির-দুই-গ্রুপের-মুখোমুখি-অবস্থান
অপরদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান খান আজাদ গ্রুপের নেতাকর্মীরা ঐ কমিটি প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করছেন। এতে গোটা উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিএনপি নেতাকর্মীদের।
সম্প্রতি এ উপজেলায় বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি কাগজে কলমে পুনর্গঠন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক নাছিরের ওপর। কিন্তু নাছির দলের বৃহৎ অংশকে বাদ দিয়ে সাবেক ও বর্তমান সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই কমিটি পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেছেন। উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ সব ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে বিরোধ, গ্রুপিং ও কোন্দল না মিটিয়ে কমিটি গঠন করায় গোটা উপজেলায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
পদ বঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটিগুলোও করা হয়েছে একই কায়দায়। এ ছাড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে।
ঘাটাইল বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, নবগঠিত উপজেলা বিএনপি কমিটির ১নং সদস্য ওবায়দুল হক নাছির কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেতা হলেও ঘাটাইলের রাজনীতিতে তিনি যুক্ত ছিলেন না। উপজেলা বিএনপির কোনো কর্মসূচিতেও তাকে দেখা যায়নি। ফলে ঘাটাইলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার চেনা জানাও কম।
ঘাটাইল পৌর বিএনপির সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, দুঃসময়ে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন তাদের অবজ্ঞা করে নিষ্ক্রিয়দের হাতে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার রেওয়াজ চালু হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ.খ.ম. রেজাউল করিম বলেন, জেলা বিএনপির উচিত ছিল ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের দিয়ে কমিটি করা। দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নিয়ে যারা পদ পেয়েছেন তাদের ঘাটাইলের মানুষ চেনে না।