সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ধর্ম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ধর্ম-ব্যবহার-করে-বিভ্রান্তি-ছড়ানোর-বিষয়ে-সজাগ-থাকতে-হবে-রাষ্ট্রপতি

ধর্ম-ব্যবহার-করে-বিভ্রান্তি-ছড়ানোর-বিষয়ে-সজাগ-থাকতে-হবে-রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যেন তাদের হীন স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করতে না পারে। এর মাধ্যমে তারা যেন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে না পারে। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটির কোনো স্থান নেই।

বুধবার সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বঙ্গভবনে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায় সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করারও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

বাংলাদেশসহ বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, দুর্গাপূজায় আমরা অবশ্যই আনন্দ-উৎসব করবো; কিন্তু মনে রাখতে হবে যে আমাদের প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন তারাও যেন এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।

রাষ্ট্রপতি গত ২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে ৭০ জন পুণ্যার্থীর অকাল প্রয়াণে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান। আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

সারাবিশ্বে বিরাজমান করোনার ছোবল ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ববাসী চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিনিয়ত মন্দার ধাক্কা লাগছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস আর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।

অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনগুলোতে ধর্মীয় সব উৎসব আরো সুন্দর ও জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হবে এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো সুসংহত হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী হরিপ্রেমানন্দ মহারাজ, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ প্রমুখ।