কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়
প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
কুয়াকাটায়-পর্যটকদের-উপচেপড়া-ভিড়
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই পর্যটন নগরিতে এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটতে শুরু করে। বর্তমানে পর্যটকদের এমন উপচে পড়া ভিড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল মোটেল। ফলে আগত অনেক পর্যটকরাই হোটেলে কক্ষ খালি না পেয়ে অবস্থান নিচ্ছেন বন্ধু বান্ধবসহ পরিচিত স্বজনদের বাসা বাড়িতে।
আবার অনেকেই সৈকতে আনন্দ উপভোগ করে রাত্রিযাপন করছেন মহিপুর, কলাপাড়ার বিভিন্ন হোটেলে এসে।
সরেজমিন দেখা যায়, সৈকতের তিন নদীর মোহনা থেকে গঙ্গামতি পর্যটন স্পট পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার বেলাভূমি জুড়ে রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। আগত পর্যটকরা জিরো পয়েন্টে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সাগরের মোহনীয় গর্জন।
এছাড়া রাখাইন মার্কেট, শুটকি পল্লী, ইলিশ পার্ক ও ইকো পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটেও রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। এদিকে বাড়তি পর্যটকদের আনাগোনায় বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও।
ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে আসা পর্যটক মিঠুন বিশ্বাস জানান, দুর্গাপূজা উৎসবে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছেন। তবে হোটেলে রুম পেয়েছেন দুটি। তিনটি পেলে ভালো হতো।
বরিশাল থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক সুমন দেবনাথ জানান, স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসে রুম পাননি তিনি। তাই বুধবার সারাদিন সৈকতসহ দর্শনীয় স্থান ঘুরে কলাপাড়ায় গিয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় থাকতে হয়েছে। তবুও বেশ আনন্দ উপভোগ করছেন। তবে একটু বাড়তি গাড়িভাড়া গুণতে হয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রী সন্তানেরা এবারের পূজায় বেশ খুশি, কুয়াকাটায় ঘুরতে পেরে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, ৫ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত কুয়াকাটায় প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলের কক্ষও কোথাও খালি নেই। কারণ গতকাল থেকেই কুয়াকাটায় পর্যটক আগমনের ঢল নেমেছে। আমরা পর্যটকদের সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক জানান, পাচঁঁদিনের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। এবং আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি।