রেলওয়ের ‘সুষম ও সমন্বিত উন্নয়নে’ মহাপরিকল্পনা সরকারের
প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার
রেলওয়ের-সুষম-ও-সমন্বিত-উন্নয়নে-মহাপরিকল্পনা-সরকারের
এসব উন্নয়ন পদক্ষেপ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০২১-২০২৫) অধীনে বাস্তবায়ন করা হবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরবর্তী পাঁচ বছরে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে ৭৯৮ দশমিক ০৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, বিদ্যমান রেললাইনের সমান্তরাল ৮৯৭ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং ৮৪৬ দশমিক ৫১ কিলোমিটার রেললাইনের সংস্কার করা হবে। এছাড়া ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেট নির্মাণ, কনটেইনার ডিপো স্থাপনসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অধীনে ১৬০টি লোকোমোটিভ, এক হগাজার ৭০৪টি যাত্রীবাহী কোচ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ সরঞ্জাম, ২২২টি স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেমের উন্নতি এবং রেলওয়ে ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, রেল যোগাযোগের আওতায় ঢাকার সঙ্গে কক্সবাজার, মোংলা সমুদ্রবন্দর, টুঙ্গিপাড়া, বরিশাল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলকে যুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে এবং আঞ্চলিক রেলওয়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা, আধুনিক কমিউটার ট্রেন পরিষেবা চালু করে আন্তঃজেলা শহরের যোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি।
এই মহাপরিকল্পনার আওতায় পাঁচ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ ধাপে ২৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী রেল সংযোগ প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ এবং যমুনা নদীর ওপর ডাবল ট্র্যাক ডুয়েলগেজ রেলসেতুর নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত এবং রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাকের ৭১ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। প্রায় শেষের দিকে রূপসা রেলসেতুর নির্মাণকাজও।
এছাড়া ৪৭ হাজার ৭০৩টি পদের সংশোধিত জনবল কাঠামোর অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। যা অনুমোদন পেলে বাড়বে রেলওয়ের সেবার মান।