প্রতিবেশী বন্ধ করে দিলো ১২ পরিবারের রাস্তা!
প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২২ বুধবার
প্রতিবেশী-বন্ধ-করে-দিলো-১২-পরিবারের-রাস্তা
বুধবার সকালে ভূক্তভোগীদের পক্ষে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি জানান কলুন গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেরে ইব্রাহীম ভূঁইয়া।
অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত আমজাদ ভূঁইয়ার ছেলে আলোক ভূঁইয়া, ফরিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে সাইফুল ভূঁইয়া ও মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে কাশেম ভূঁইয়া।
ভুক্তভোগী ইব্রাহীম ভূঁইয়া বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্তরা গত ১০ আগস্ট আমার পরিবারসহ আরো ১২টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। ৩০-৩৫ বছর যাবৎ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাস্তাটি হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়ায় ওই ১২টি পরিবারের প্রায় অর্ধশতাধীক মানুষ অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে আছে। অনেক কষ্টে অন্যের বাড়ির উঠান দিয়ে চলাচল করতে হয়। কষ্ট করে এইভাবে শিশু, বৃদ্ধ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা চলাচল করেন। অন্যের বাড়ির উঠান দিয়ে শিশুরা স্কুলে ও মুসল্লিরা মসজিদে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে জানালে তারা সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করলেও অভিযুক্তরা আর ওই রাস্তা উন্মুক্ত করেনি। পরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জের ইউএনও এবং ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেও রাস্তার ব্যাপারে কোন প্রতিকার পাননি।
অভিযুক্ত কাশেম ভূঁইয়া বলেন, যে রাস্তা নিয়ে অভিযোগ, সেটা আমাদের পারিবারের রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে আমাদের বৌ-বেটিরা চলাচল করে। তবে আমাদের অন্য জায়গা দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে তাদেরকে চলাচল করতে বলেছি।
ইউপি সদস্য মো. ইকবাল হোসেন সারোয়ার জানান, চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সবাইকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসা করে দিয়ে ছিলাম। কিন্তু পরে শুনি তারা আর সালিশ মীমাংসার কথা মানেনি।
বক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আকন্দ ফারুক জানান, বিষয়টির ব্যাপারে আমি গিয়ে বলে এসেছিলাম। পরে শুনলাম তারা আর রাস্তা দেয়নি। এ ব্যাপারে থানার ওসিও আমাকে ফোন দিয়েছিল। তিনি বলেছেন ঘটনাস্থলে আসবেন। ওসি আসলে আবার গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার ব্যবস্থা করা হবে।
ওসি মো. আনিসুর রহমার জানান, অভিযোগ পেয়েছি এবং দু’পক্ষের সঙ্গেই কথা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।
ইউএনও মো. আসসাদিকজামান জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা দুই পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আবারো মীমাংসার চেষ্টা করবে।