বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পূজামণ্ডপে পদ্মাসেতু

প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০২২ বুধবার

পূজামণ্ডপে-পদ্মাসেতু

পূজামণ্ডপে-পদ্মাসেতু

সম্পর্কিত খবর তিন মাসে পদ্মাসেতুর টোল আদায় ২০০ কোটি টাকা এবার শেরপুরে তৈরি হলো পদ্মাসেতু! কথাটি শুনে খটকা লাগলেও জেলা শহরের বাগবাড়ি এলাকায় মন্দিরের পাশে পুকুরে এমনই সেতু বানিয়েছেন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা। ককশিট দিয়ে বানানো হয় এ সেতু। পদ্মাসেতুর আদলে হওয়া এ পূজামণ্ডপ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

সেতু নির্মাণকারী সঞ্জিত সূত্রধর বলেন, ইউটিউব দেখে পদ্মাসেতুর পুরো ডিজাইনটা রপ্ত করি। পরে ককশিট দিয়ে সেতুর নাট-বল্টু বানানোর চেষ্টা করি। এরপর ১শ’ ফুট লম্বা ও তিন ফুট চওড়ার এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি বানাতে ২০-২২ দিন সময় লেগেছে।

বাগবাড়ি মন্দির কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজিত দাস বলেন, দেশের জন্য দৃষ্টিনন্দন জিনিস হচ্ছে পদ্মাসেতু। তাই পদ্মাসেতুর আদলে পূজামণ্ডপ বানানো হয়। সেতুটি বানাতে সঞ্জিতের সঙ্গে চুক্তি করেন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির লোকজন।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতুটি সবার জন্য দেখা সম্ভব নয়। তাই এর আদলে সবাইকে সেতুটি দেখার জন্য আমাদের এ প্রয়াস। এ নিয়ে জেলায় কোনো প্রতিযোগিতা হলে পদ্মাসেতুর জন্য আমরা প্রথম হবো বলে আশা করছি।

দর্শনার্থী সুনীল দাস বলেন,  ফেসবুকে এ পদ্মাসেতুর ছবি পোস্ট হওয়ার পর ভাইরাল হয়। তাই এ সেতু দেখতে এসেছি। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।

দর্শনার্থী মনিষা দাস বলেন, পদ্মাসেতু দেখতে গাইবান্ধা থেকে শেরপুর এসেছি। শুধু আমি একা নই, আশপাশের জেলা থেকে হাজারো মানুষ আসছেন।

বাগবাড়ি মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ সবুজ দে বলেন, এ সেতু তৈরি করতে ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় ১৫ জন লোক দিন-রাত কাজ করে এ সেতু বানিয়েছেন।