বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করায় কারাগারে গেলেন চঞ্চল

প্রকাশিত : ১১:১৫ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

ফেসবুকে-অশালীন-মন্তব্য-করায়-কারাগারে-গেলেন-চঞ্চল

ফেসবুকে-অশালীন-মন্তব্য-করায়-কারাগারে-গেলেন-চঞ্চল

ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে সেখান থেকে এক নারীর সম্পর্কে বাজে মন্তব্য লিখে স্ট্যাটাস দেন মোমিনুল ইসলাম চঞ্চল। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া ছাড়াও নারীর পরিবার ও স্বজনদের মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি ও বার্তা লিখে সামাজিক মান-মর্যাদা ক্ষণ্ন করাসহ হয়রানি করেন চঞ্চল।

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল নগরীর রাজপাড়া থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে চঞ্চল দোষী প্রমাণিত হন এবং তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জানা গেছে, আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে। অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামি মোমিনুল ইসলাম চঞ্চল নগরীর বোয়ালিয়া থানার মোন্নাফের মোড়ের বাসিন্দা। তিনি ২০১৭ সালের দিকে ফেসবুকে ভুয়া একটি আইডি খোলেন। সেখান থেকে মামলার বাদী ও তার কর্মস্থলের ছবি ব্যবহার করে স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে বাদীর ব্যাপারে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর কথা বার্তা লেখেন।

এছাড়া আসামি স্বজনদের ফোনেও অশালীন বার্তা ও ছবি পাঠান। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল মহানগরীর রাজপাড়া থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন বাদী। ওই বছরের ২ মে পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে। এরপর আদালত থেকে জামিন পান। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি পুলিশ আদালতে এই মামলার চার্জশিট দেয়। আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।