নতুন রাস্তায় লাগানো হচ্ছে পুরোনো-পরিত্যক্ত সড়কবাতি
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
নতুন-রাস্তায়-লাগানো-হচ্ছে-পুরোনো-পরিত্যক্ত-সড়কবাতি
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির ল্যাম্প পোস্টগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন ও অকেজো বাল্ব। পুরাতন ও বহুদিন পড়ে থাকা এসব বাল্ব কোনো রকম মেরামত না করে পুরু ধুলোর প্রলেপে ঢাকা বাল্বগুলো লাগিয়ে দায়সাড়া কাজ করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে গত রোববার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর লিলি হল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি ল্যাম্পপোস্টে এসব বাল্ব এরমধ্যেই লাগানো শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও প্রতিবেদকের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, বিপুল পরিমান পুরোনো বাল্ব একটি ট্রাকে আবর্জনার স্তুপের মতো পড়ে আছে। এসব দেখে বোঝার উপায় নাই যে, এই বাল্বগুলো ব্যবহারের উপযোগী। কোনো বাল্বে মরিচা আবার কোনটির সংযোগ তার ঝলসানো এবং প্রতিটি বাল্বের উপরের আবরণী কাঁচে লেগে রয়েছে পুরু ধুলাবালির প্রলেপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এসব বাল্ব দেখে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। কারণ রাজশাহীর প্রায় সব রাস্তাতেই প্রজাপতি ডানা, রাজমুকুট লাইটসহ খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় লাইট ও ল্যাম্পপোস্ট লাগানো হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোর্ট স্টেশন থেকে লিলি হলের রাস্তাটিতে লাগানো হচ্ছে পুরাতন অকেজো বাল্প। এসব বাল্বগুলোর যে অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে লাগনোর পর কতদিন টিকবে তারও কোনো গ্যারান্টি নেই। মূলত দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার দুর্নীতি করতেই এ ধরনের পুরোনো বাল্ব লাগাচ্ছে।
কোর্ট বাজার এলাকায় কর্মরত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের পুরাতন লাইট লাগনোর ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কোনো উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন। পুরোনো বাল্ব লাগানোর কাজ করার জায়গাটির পাশেই অবস্থিত রাসিকের ২নং ওর্য়াড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের কার্যালয়।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে (রাসিক) বলেছিলাম পুরাতন এই বাল্বগুলো লাগাতে। কারণ, আমি জানি বাল্বগুলো খুব ভালো মানের। তবে, হতাশ হয়েছি যখন দেখলাম যে প্রায় ২৫ লাখ টাকা সংস্কার বিল দেখানোর কথা বলে এই বাল্বগুলো লাগানোর কথা থাকলেও পুরাতন এসব বাল্ব একবারও পরিষ্কারও করা হয়নি। পূর্বে যে অবস্থায় ছিল ঠিক তেমনিভাবে বাল্বগুলো লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে আসলেই আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করেছি।
এ বিষয়ে সড়কটির দায়িত্বে থাকা রাসিকের কর্মকর্তা সুমনকে কাজের স্থানে পাওয়া যায়নি। কাজ চলাকালীন তিনি সড়কটিতে উপস্থিত না থাকায় তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। সড়কবাতি লাগানোর বিষয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানালে তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে ফোন কেটে দেন।
সড়কবাতি লাগানোর এসব কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আশরাফুল হুদা টিটু। তার মুঠোফোনেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তার মন্তব্য মেলেনি।
স্থানীয়দের দাবি- নগরীর প্রতিটি সড়কের মতো কোর্ট বাজার ও লিলি হলের মোড়ের সড়কটিতেও নতুন ও অত্যাধুনিক সড়কবাতি লাগানো হোক।