সরাইলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
সরাইলে-গৃহবধূর-রহস্যজনক-মৃত্যু-পরিবারের-দাবি-হত্যা
রোববার রাতে সরাইল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জুমিনার পিতা আলাল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার সকালে সরাইল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা মামলার এজহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কুট্টাপাড়ার আলাল মিয়ার মেয়ে জুমিনার সঙ্গে এক বছর আগে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ইমন মিয়ার (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক বাবদ ইমনকে অনেক মালামাল দিয়েছেন আলাল মিয়া। বাকি ছিল একটি শোকেস (আলমারি)। সেটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্বামী ও শাশুড়ি জুমিনাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। জুমিনাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মানসিক নির্যাতন করতেন তারা।
রোববারও শোকেস নিয়ে জুমিনাকে গালমন্দ করেন ইমন ও তার মা। বিকেল ৪টার দিকে আলাল তার মেয়েকে ফোন দিলে জুমিনা কেঁদে বাবাকে বলেন, শোকেস না দেওয়ার জন্য স্বামী ও শাশুড়ি তাকে খুব চাপ দিচ্ছেন। তারা শোকেসের পরিবর্তে ১০ হাজার টাকা চান। টাকাটা তাদের খুবই প্রয়োজন।
আলাল মিয়া তার কন্যা জুমিনা বেগমকে বলেন, আগামী শনিবার ইমনকে নিয়ে তার বাড়িতে গেলে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দিবেন। সন্ধ্যায় আলাল মিয়া খবর পান জুমিনা মারা গেছেন। তিনি ইমনের বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখেন জুমিলার লাশ নিয়ে বসে আছেন শাশুড়ি নাজমা বেগম। পরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে শাশুড়ি নাজমাকে আটক করে ও রাত ১২টায় হাসপাতাল থেকে জুমিনার লাশ উদ্ধার করে।
ইমন মিয়া ও তার মা নাজমা বেগম জানান, জুমিনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
জুমিনার বাবা আলাল মিয়া বলেন, শোকেসের বদলে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। তা না দেওয়ায় জুমিনাকে তার স্বামী ইমন ও শাশুড়ি নাজমা বেগম গালাগাল ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দু’জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।