স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে অহরহ চুরি
প্রকাশিত : ০৫:১৫ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২২ সোমবার
স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সেে-অহরহ-চুরি
বেশ কিছু দিন যাবত এ চোর চক্রটি সেবাপ্রার্থীদের অজান্তেই হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ-সম্পদ। প্রতিদিনই হাসপাতালের আউটডোরে টিকেট এর জন্য দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তথা সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে চুরি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া হাসপাতালের ইনডোরে থাকা রোগী ও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সার চুরি করে চক্রটি। রোববার হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে রহিমা খাতুন নামে এক নারীর অঝোরে কান্না করছিল। কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন নিজের চিকিৎসার জন্য অল্প করে ৫০০ টাকা জোগার করেছিলাম হাসপাতালে আসতেই লোকজনের ভিড়ে টাকা গুলো চুরি হয়ে গেছে। রহিমা উপজেলার চন্ডিপাশা গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের স্ত্রী।
গাংগাইল ইউপির মধ্যগয়েশপুর গ্রামের মতি মিয়ার স্ত্রী করোনা আক্তার তার মেয়ের চিকিৎসা সেবা নিতে এসে টিকেটের জন্য লাইনে দাড়িঁয়েই ১৪০০ টাকা চুরি হয়ে গেছে। কে বা কারা চুরি করেছে তিনি তা বলতে পারছেন না। শুধু তাই নয় একই দিন মধ্যাহ্ন ভোজের সময় সেবা নিতে আসা অজ্ঞাত আরো ২ মহিলার নগদ ৩ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে চোর চক্রটি।
মোয়াজ্জেমপুর ইউপির কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী মদিনা আক্তার টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল। পরক্ষণেই ভ্যানেটি ব্যাগে হাত দিয়ে দেখতে পায় তার সঙ্গে থাকা ৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। এসব ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সেবাগ্রহীতারা।।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেবা গ্রহীতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। যে কোন সময় হাসপাতালে সিন্ডিকেট চোর চক্রের খপ্পরের শিকার হচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, হাসপাতালে ইনডোরে রোগীদের কয়েকটি ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা থাকালেও আউটডোরের একটি মাত্র সিসি ক্যামরা রয়েছে তাও আবার অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তবে আউটডোরের সিসি ক্যামেরাটি কেন অচল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেবাপ্রার্থীরা। এ অবস্থার জন্য সেবা গ্রহীতারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। কারণ আগে এরকম চুরি-ছিনতাই ছিলনা। হঠাৎ কেন হাসপাতালে চুরি-ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফেসবুকে হাসপাতালে চুরির ঘটনা নিয়ে সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত কয়েকদিন আগে হাসপাতালের সাধারণ জনগণের জন্য দেওয়া সিলিং ফ্যান সরিয়ে সেবা প্রদানকারীর মাথার ওপর সিলিং ফ্যান ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছনতা সহ এ ধরনের অনেক অভিযোগ রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ দিকে প্রতি মাসে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়ে থাকে। তবুও কেন এমন অব্যস্থপনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুর রশীদ জানান, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি, সাধারণ মানুষ যেন সঠিক চিকিৎসা সেবা পায়। আর হাসপাতাল মনিটরিংয়ের জন্য লাগানো সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে টেকনিয়াশান ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটু ব্যাঘাত করছে। পাশাপাশি হাসপাতালে জনবল সংকট থাকা এটাও একটা অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।